সিবিআই পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ, ধরা পড়তেই উত্তম মধ্যম স্থানীয়দের
এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৪
সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা! কিন্তু, ‘কাঁচা উপস্থাপনে’ হাতে নাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। এরপর গ্রামবাসীদের হাতে উত্তম-মধ্যম ধোলাই খায় সে। এলাকাবাসীই তাকে তুলে দেয় পুলিশের হাতে।শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্ট থানার চাঁদেরঘাট গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা বুদ্ধদেব মণ্ডল দুই বিঘা জমি বিক্রি করার জন্য তাঁর ভাইপো প্রশান্ত মণ্ডলকে খদ্দের দেখতে বলেছিলেন। অভিযোগ, প্রশান্ত মণ্ডল জমি বিক্রি করার জন্য জাল বায়নানামা তৈরি করেছিলেন।
শুক্রবার বিকেলে সেই কাগজ নিয়ে নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় চার ব্যক্তি। তারা বুদ্ধদেববাবুকে বলেন, জমিবিক্রির বায়নানামা তৈরি করার পরও তা বিক্রি না করে প্রতারণা করেছেন তিনি। সেই জন্য তদন্ত করতে এসেছে তারা। পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে মামলা থেকে মিলবে মুক্তি, এমনটাও জানানো হয়। বুদ্ধদেববাবুর অপর এক ভাইপোর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়। তিনি ওই সিবিআই অফিসারের পরিচয় পত্র দেখতে চান। কিন্তু, তা দেখাতে পারেনি ওই ব্যক্তি।
উল্টে সেই সময় থেকেই ঢোঁক গিলতে শুরু করে সে, অভিযোগ এমনটাই। শুধু তাই নয়, পালানোরও চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। কিন্তু, পাঁচিল টপকানোর সময় উপর থেকে পড়ে নাক ফাটিয়ে বসে সে। আর তা জানাজানি হতেই ছুটে আসেন গ্রামের লোকজনেরা। ওই চার জনকে পাকড়াও করেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, এরপরেই গণপ্রহার শুরু হয়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন।
তেহট্ট থানার পুলিশ এসে ওই চারজনকে উদ্ধার করে। যদিও ভুয়ো সিবিআই পরিচয় দেয়নি বলেই দাবি করেছে অভিযুক্ত। তার কথায়, সে জমির কারবার করে। জমির বিনিময়ে তাকে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু, এরপর তাঁকে আর জমি দেওয়া হয়নি। তার অভিযোগ প্রশান্ত মণ্ডলের দিকে। পাশাপাশি কাউকে সিবিআই অফিসার বলে নিজের পরিচয় দেয়নি বলেও দাবি ওই ব্যক্তির। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এই প্রসঙ্গে নদিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম আদিত্য আচার্য্য। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হয়।'