কোনভাবেই ভিন রাজ্যে আলু পরিবহণ নয়। দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। রবিবার, ২১ জুলাই থেকে যা শুরু হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে তাঁদের সংগঠন। ফলে আগামী সপ্তাহে ফের আলুর দাম চড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।শনিবার, ২০ জুলাই বাঁকুড়ার জয়পুরের একটি বেসরকারি রিসর্টে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানেই রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে চাষিদের থেকে আর কোনও আলু কেনা হবে না। শুধু তাই নয়, বন্ধ থাকবে হিমঘর থেকে বাজারে আলু নিয়ে আসার কাজও।
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে সরবরাহ হয় আলু। কিন্তু সম্প্রতি এর দাম বেড়ে যাওয়ায় কড়া সিদ্ধান্ত নয় নবান্ন। এখানে থেকে ভিন রাজ্যে আলু পরিবহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার।
আলু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নবান্নের তরফে এই নির্দেশ জারির পরই পড়শি রাজ্যের সীমানায় তাঁদের গাড়ি আটকাতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। ফলে আর্থিকভাবে মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়ছেন তাঁরা। ফলে বাধ্য়ে হয়ে কর্মবিরতিতে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আলু কিনে যদি লাভই না করতে পারি, তা হলে আমাদের সংসার কীভাবে চলবে? আমরা আলোচনার দরজা খোলা রাখছি। সরকার ডাকলে অবশ্যই সমাধান সূত্রে বের করতে কথা বলব। তবে এই মূহূর্তে কর্মবিরতিতে যাওয়া ছাড়া আমাদের কাছে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা নেই।’
এর পরই আলুর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনকে। কিন্তু সেখানেও অকপট জবাব দিয়েছেন তাঁরা। ‘আমরা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করি না। মূলত, চাহিদা অনুযায়ী এর দাম ওঠা-নামা করে। ফলত, আলুর দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা সরকারকেই ঠিক করতে হবে। কিন্তু তার জন্য আমাদের গাড়ি আটকে দিলে ব্যবসা মার খাবে।’ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বিভাস দে।