পড়াতে গিয়ে দুঃস্থ নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন, অধ্যাপকের চরম সাজা ঘোষণা শ্রীরামপুর আদালতের ...
আজকাল | ২১ জুলাই ২০২৪
মিল্টন সেন, হুগলি: নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পকসো মামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপক। তাকে ২০ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিল শ্রীরামপুর আদালত।বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতা। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবি, অভিযুক্তের আইনজীবীর।
শ্রীরামপুর কলেজের থিওলজিকাল বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রতাপ দিগল। তিনি ওড়িশার বেহরামপুরের বাসিন্দা। কলেজের স্টাফ কোয়ার্টার ম্যাক হাউসে থাকতেন। সেখানেই নাবালিকা এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। ২০২২ সালের মার্চ মাসে শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবলিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ।
অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দী থাকা অবস্থায় মামলার চার্জশিট হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। শুনানির পর শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজ কুমার রাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার তার সাজা ঘোষনা হয়।
এই মামলা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখার্জি বলেছেন,ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করেছিলেন।ম্যাক হাউসে দুঃস্থদের রেখে মেয়েদের পড়াতেন। নির্যাতিতা ২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ম্যাক হাউসে যায়। কয়েকদিন পর থেকেই তার উপর যৌন নির্যাতন চলে। আদালত অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ষাট হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
নির্যাতিতাকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথোরিটিকে নির্দেশ দেয় আদালত। সরকারি আইনজীবী আরও বলেছেন, এই সাজা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। কারণ একজন শিক্ষক হয়ে তিনি ছাত্রীর সঙ্গে যা ঘৃণ্য আচরণ করেছেন, ভবিষ্যতে তা যেন আর কেউ না করতে পারে। অপরদিকে নির্যাতিতা এই রায়ে খুশি। তিনি বলেন, এই দিনটার জন্য আড়াই বছর ধরে তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। অধ্যাপক তাঁর যে ক্ষতি করেছে আর যেন কারও না করতে পারে। সেই জন্যই তিনি লড়াই জারি রেখেছিলেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী অরুণ আগরওয়াল বলেন, একটা মিথ্যা সাজানো মামলা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করবেন।