• ৮ সাক্ষীর 'বয়ান' নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খণ্ডন রাজভবনের, ‘নিজেকেই ক্লিনচিট’, কটাক্ষ TMC-র
    আজ তক | ২১ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং রাজভবনের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা প্রকাশ পেয়েছে। রাজভবন থেকে শনিবার প্রকাশিত তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, অভিযোগকারিণীর দাবির সত্যতা যাচাই করতে রাজভবনের আট জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে এবং অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন পন্ডিচেরি জুডিশিয়াল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ডি রামাবাথিরন।

    তৃণমূল এই রিপোর্টকে 'কৌতুক' বলে কটাক্ষ করেছে এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "রাজ্যপাল নিজেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন যা সাপেক্ষ। এটা কি কমেডি? তিনি একজন বিচারককে এনে একটি শ্লীলতাহানির মামলায় ক্লিনচিট দিচ্ছেন? তিনি ৩৫১ অনুচ্ছেদের সুবিধা নিচ্ছেন।"

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ২৪ এপ্রিল এবং ২ মে তারিখে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে। তবে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগে তদন্ত করা যায় না বলে কলকাতা পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট ৩৬১ অনুচ্ছেদের রূপরেখা পরীক্ষা করে যা রাজ্যপালদের যে কোনও ধরণের ফৌজদারি মামলা থেকে অনাক্রম্যতা দেয়।

    রাজভবনের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারিণীর দাবির সত্যতা যাচাই করতে আট জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণীর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অভিযোগকারিণীর আচরণ, সময় এবং নির্বাচিত কৌশলগুলি সন্দেহের জন্ম দেয়। 

    রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় এসে রাজভবনে রাত্রিবাস করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল কীভাবে কোনও আপত্তিকর কাজে যুক্ত থাকতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে রিপোর্ট।

    তৃণমূল কংগ্রেস এই রিপোর্টকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল তদন্ত রিপোর্টের নামে কিছু আবর্জনা প্রকাশ করেছেন। নিগৃহীতা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। রাজ্যপাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে বলছেন, আমিই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আমাকে ক্লিনচিট দিলাম।” তিনি আরও বলেন, “যদি রাজ্যপাল সত্যিই নিরপরাধ হন, তবে তাঁর বলা উচিত ছিল যে, তিনি কোনও রক্ষাকবচ ছাড়া পুলিশের তদন্তের সম্মুখীন হবেন।”

     
  • Link to this news (আজ তক)