• ‘একুশের সমাবেশ বাংলার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বললেন মমতা
    প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৪
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মেগা সমাবেশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি কেমন চলছে? শনিবার সন্ধে নামতেই তা খতিয়ে দেখতে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসে চলে গেলেন  স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। নেত্রী মঞ্চে পৌঁছতেই সামনে দলের নেতাদের ভিড়।  তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণামের হিড়িক। এসব দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিশেষ পরিদর্শন করেননি। তিনি মঞ্চের নিচে চেয়ারে বসে পড়েন। তাঁর পাশে ছিলেন সায়নী ঘোষ, মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। সেখানেই একে একে নেতারা এসে নেত্রীকে প্রণাম করেন। তিনিও সকলের সঙ্গে কথা বলেন।  দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু নোট করে নেন নেত্রী।  পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একুশের সমাবেশের গুরুত্ব বোঝালেন। শহিদ দিবস নিছকই রাজনৈতিক সমাবেশ নয় বলেও জানালেন। 

    প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মতলার (Dharmatala) ভিক্টোরিয়া হাউসের তৈরি হয়েছে একুশে জুলাই, শহিদ সমাবেশের মঞ্চ। তবে এবার মঞ্চসজ্জায় খানিকটা বদল করা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির কথা ভেবে  ব্যাকড্রপ চওড়া হয়েছে। এছাড়া সামনের দিকের মঞ্চও খানিকটা বাড়ানো হয়েছে। নতুন মঞ্চ কেমন হল, তা  দেখতে শনিবার সন্ধেবেলাই সেখানে পৌঁছে যান দলনেত্রী। গত কয়েক বছর ধরে ২১ জুলাইয়ের আগের দিন প্রস্তুতি  খতিয়ে দেখতে যান। এবার আবার লোকসভা ভোটের দারুণ ফলাফলের পর একুশের সমাবেশ। তাই বিশেষ প্রস্তুতি। 

    পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”২১ জুলাই (21 July Shahid Diwas) আমরা সকল শহিদ স্মরণে, বিভিন্ন গণ আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের আমরা শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করি। আর যত নির্বাচন হোক, তার পর আমরা এই দিনটাকে মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসাবে বেছে নিই।  সবাই দূর দূর থেকে আসে। সবাইকে বলব, মাথা ঠান্ডা করে আসবেন। বাসে এলে আস্তে আস্তে চালাতে বলবেন, যাতে দুর্ঘটনা না হয়। রেলকে আমরা বলেছিলাম, ১৫ দিন আগে কোনওভাবে যাতে কোনও ট্রেন বাতিল না হয়। রেলে যাঁরা আসবেন, বাইরের দিকে কেউ মাথা ঝোঁকাবেন না। অনেকে এর আগে বাইরের পিলারে ধাক্কা খেয়ে মারা গিয়েছেন। আমরা চাই না এরকম হোক। এইটুকু বলে গেলাম। আমরা এখানে নেতা নয়, সবাই কর্মী।”

    এর পর  তিনি জানান, ”রবিবার আবহাওয়া একটু খারাপ হতে পারে। অখিলেশকে (Akhilesh Yadav) কাল বলেছি, ও আসবে। বুদ্ধিজীবীরা আসবেন। মনে রাখতে হবে, এটা কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। বাংলা মা-কে রক্ষা করার লড়াই এটা, দেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সবাই আসবেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)