• শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভুয়ো, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি রাজভবনের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করল কলকাতা রাজভবন। ৮ জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে ওই তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছেন পুদুচেরির অবসরপ্রাপ্ত নগর ও দায়রা বিচারক ডি রামাবাথিরণ। রিপোর্টে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের মহিলা কর্মীর করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। তবে এই রিপোর্টকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, যিনি অভিযুক্ত তিনিই বিচারক, এটা আবার হয় না কি?


    পড়তে থাকুন - মাগুর মাছ চাষ করতে তৈরি করেছিলেন সুড়ঙ্গ, নতুন তত্ত্ব খাড়া করল সাদ্দাম সরদার

    গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের পুলিশ চৌকিতে অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনের পিস হাউজের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। দীর্ঘদিন রাজভবনে কর্মরত ছিলেন তিনি। থাকতেন রাজভবনের হস্টেলে। মহিলার অভিযোগ ছিল গত ২৪ এপ্রিল রাজ্যপাল তাঁকে নিজের অফিসে ডেকে শ্লীলতাহানি করেন। এর পর ২ মে ফের তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। মহিলা অভিযোগ জানালেও রাজ্যপালের রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে তারা। এমনকী অভিযোগকারিনীকে অভিযোগ জানাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে লালবাজার। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট গোটা তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পর অভিযোগকারিনী সুপ্রিম কোর্টে গেলে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় রাজ্যকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয়। 

    তার পরদিনই রাজভবনের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাক্ষীদের বয়ান অনুযায়ী অভিযোগ ভিত্তিহীন। মহিলা অভিযোগে দাবি করেছিলেন তিনি তাঁর সুপারভাইজারের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই সুপারভাইজার মুন্না চৌধুরী অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে জানিয়েছেন, তিনি ও অভিযোগকারিনী রাজ্যপালের অফিসে গিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় কথা সেরে তিনি রাজ্যপালের দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্যত হন। কিন্তু অভিযোগকারিনী ওঠার নাম নিচ্ছিলেন না। তখন তিনি অভিযোগকারিনীকে রাজ্যপালের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইঙ্গিত করেন। কিন্তু তাতেও সাড়া দেননি অভিযোগকারিনী। এর পর রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে তাঁর দফতর ছাড়েন মুন্না। অভিযোগকারিনী একাই রাজ্যপালের দফতরে রয়ে যান।


    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২ মে যেদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেদিন রাজভবনে রাত্রিবাস করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আগের দিন থেকেই রাজভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল SPG. তার মধ্যে কী ভাবে কারও শ্লীলতাহানি করা সম্ভব?

    এই রিপোর্টকে আবর্জনা বলে উল্লেখ করে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, সাহস থাকলে রাজ্যপাল পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)