সব্জির মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেও কাজে লাগাচ্ছে প্রশাসন
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: সব্জির মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় পুলিস ও প্রশাসনের বাজারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবারও মেদিনীপুর, খড়্গপুর শহর সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অভিযান চালান। তাঁরা দেখেন, একই বাজারে আলাদা আলাদা দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দামের হেরফের নিয়ে ব্যবসায়ীদের কড়া ধমক দেন আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষকে মূল্যবৃদ্ধি থেকে নিস্তার দিতে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত সুফল বাংলার স্টল খুলেছে প্রশাসন। এবার সব্জি বিক্রির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও ময়দানে নামানো হয়েছে।
মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ অশোকরাও বলেন, পাইকারি বাজারে দাম ঠিকই আছে। খুচরো বাজারে কেউ কেউ দাম বেশি নিচ্ছে। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরির নির্দেশে বিভিন্ন বাজারে হানা দেন পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা দেখেন, বিভিন্ন বাজারে সব্জির বিভিন্ন দাম। আলু কোথাও ৩০টাকা, কোথাও আবার ৩২-৩৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ কোথাও ৪০ টাকা, কোথাও আবার ৪২-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম কোথাও ১৯০, তো কোথাও ২০০-২২০ টাকা। খুচরো বাজারে লঙ্কার দামেও হেরফের রয়েছে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠ সহ সন্ধ্যায় যে সমস্ত জায়গায় বাজার বসে, সেখানে সব্জির দাম আরও বেশি। সেখানে আবার ১০০গ্রাম লঙ্কা ১৬-২০টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে! কেন দামের এত হেরফের-তা জানতে চান আধিকারিকরা। বিক্রেতারা কেউ দাবি করেন, তাঁদের সব্জির গুণগত মান বাকিদের থেকে আলাদা। কেউ আবার পাইকারি বাজারে দামের হেরফেরকে দায়ী করেন। শনিবার মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দামের এই হেরফের দেখে ব্যবসায়ীদের ধমক দেন আধিকারিকরা। আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন সহ বিভিন্ন সব্জির ‘সঠিক’ কত দাম নেওয়া উচিত, তাও জানিয়ে দেন। এদিন সকালে খড়্গপুরেও বিভিন্ন সব্জি বাজার ঘুরে দেখেন পুরসভা, পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
মূল্যবৃদ্ধি থেকে মানুষকে রেহাই দিতে একাধিক ‘সুফল বাংলা’র স্টল খোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পের অধীনে আলু, পেঁয়াজ সহ নানা সব্জি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসকের নির্দেশে শালবনীর স্বনির্ভর গোষ্ঠী ‘সৃজনী সঙ্ঘ’ নিজেদের সব্জির স্টল দিয়েছে। খুচরো বাজারের তুলনায় সেখানে দাম কম। শালবনীর বিডিও রোমান মণ্ডল বলেন, মানুষের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।