• অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ থেকে গেদে দিয়ে ফিরলেন প্রায় ৪০০ পড়ুয়া
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: ছাত্র আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করা মৈত্রী এক্সপ্রেসও বন্ধ। এই অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র বাঁচার তাগিদে ভারতে চলে আসছেন। প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। বহু পড়ুয়া শনিবার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। গত দু’দিনে প্রায় ৪০০ পড়ুয়া এদেশে চলে এসেছেন। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ। নেট পরিষেবা বন্ধ। আসা-যাওয়া বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে  অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে ভারতে ফিরছেন বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিনে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। অশান্ত বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা শতাধিক। এই অবস্থায়  বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনাচ্ছেন তাঁরা। কীভাবে চলছে রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ। চলছে গোলাগুলি। ছোট গাড়ি বারবার পাল্টে আসার সময়ও স্থানীয়দের টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা না দিলে গাড়ি আটকেছে। বিপাকে পড়া মানুষের কাছ থেকে মূলত লুটতরাজ চালানো হচ্ছে। কেউ কেউ টাকা দিতে না পারায়  সেদেশেই থেকে গিয়েছেন। 


    ভারতীয়দের সঙ্গে ফিরেছেন নেপাল থেকে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারাও। শনিবার কৃষ্ণগঞ্জ থানার গেদে সীমান্তে এই পড়ুয়ারা ফিরে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। আইন  নিয়ে পড়া নির্ঝর সেখ বলেন, আমরা চাই মেধাতে চাকরি হোক। দেশটা কোটামুক্ত হোক। সমস্ত কিছু স্বচ্ছভাবে হোক। এখন সব বন্ধ। পুলিস গুলি চালাচ্ছে।


    এ প্রসঙ্গে নাটোর থেকে আসা ছাত্র তবু মণ্ডল বলেন, ৬০ শতাংশ কোটায় চাকরি হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে। তাই আমরা মিছিল সমাবেশ করছি। কিন্তু অবৈধভাবে পুলিস র‍্যাফ নামানো হচ্ছে। তারা নির্মম ভাবে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছে। গেদেতে ডলার ভাঙানোর ব্যবসা করা গৌতম নাথ বলেন, গত দু’দিনে প্রায় ৪০০ জন পড়ুয়া চলে এসেছেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)