• শক্তিগড়ে পচা ল্যাংচা বিক্রির চেষ্টা ব্যর্থ, গোডাউনে হানা স্বাস্থ্যদপ্তরের
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শক্তিগড়: ২১ জুলাইয়ের ‘বাজার’ ধরতে ১৫-২০ দিন আগে থেকে কয়েক কুইন্টাল ল্যাংচা তৈরি করে রাখা হয়েছিল শক্তিগড়ে। গোডাউনে দিনের পর দিন সেই মিষ্টি পড়ে থাকায় তাতে পচন ধরে। মেঝেতে সেসব ডাঁই করে রাখা হয়েছে। সেইসব পচা ল্যাংচাই একশ্রেণির ব্যবসায়ী প্যাকেটজাত করে এদিন বিক্রি করার টার্গেট নিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সেই অশুভ উদ্দেশ্য ভেস্তে দিলেন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের ফুড সেফটি আধিকারিকরা। সাতজন বিক্রেতাকে আইনি নোটিস ধরানো হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছে। ক্রেতাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ডেপুটি সিএমওএইচ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, এদিন আমরা মিষ্টি বিক্রেতাদের বাড়িতে অভিযান চালাই। সেখানেই তাঁদের গোডাউন রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক আগে থেকে তৈরি করা ল্যাংচায় পচন ধরেছে। অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় সেগুলি রয়েছে। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা উদ্ধার করে মাটিতে পোঁতা হয়েছে। আসলে ২১ জুলাই মিষ্টির দোকানগুলিতে প্রচুর ভিড় হয়। খারাপ মিষ্টি বিক্রি হলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। সেকারণেই আমরা আগে থেকেই অভিযান চালাই। অধিকাংশ দোকান স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। বহুবার সতর্ক করা হয়েছে। কোনও কাজ হয়নি। এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছি।


    স্থানীয়রা বলেন, প্রতি বছর ২১ জুলাই শক্তিগড়ের দোকানগুলি থেকে কয়েক  ঘণ্টার মধ্যে ল্যাংচা উধাও হয়ে যায়। কলকাতার সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বীরভূম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গের বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক জাতীয় সড়ক ধরে যান। কলকাতা যাওয়ার পথে অনেকেই এখানে ল্যাংচা সহযোগে টিফিন সারেন। আবার ফেরার পথেও তাঁরা প্যাকেটে মিষ্টি কিনে বাড়ি ফেরেন। 


    এক পুলিস আধিকারিক বলেন, এদিন অধিকাংশ ‘ফ্লাইং’ ক্রেতা। তাঁরা বাড়িতে গিয়ে খারাপ মিষ্টি দেখলেও পরের দিন প্রতিবাদ করতে আসবেন না। সেই সুযোগটাই ব্যবসায়ীরা নিতে চাইছি঩লেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)