• ট্রেন, বাস ও গাড়িতে কলকাতামুখী জেলার এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: কলকাতা ও শিয়ালদহগামী ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশে নেত্রীর বার্তা শুনতে মুখিয়ে আছেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ধর্মতলার সমাবেশে অংশ নিতে শনিবার সকাল থেকে ট্রেনে ও গাড়িতে কলকাতামুখী হয়েছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন কলকাতা এবং শিয়ালদহ স্টেশনে যায়। তাই ট্রেনের থেকে বেশি নেতাকর্মীদের ভরসা বাস এবং ছোট গাড়ি। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রায় দেড় হাজার ছোট গাড়ি ও ৩৫০ বাস ভাড়া করে কলকাতা গিয়েছেন নেতারা। বেশ কিছু ব্লক থেকে শুধু মহিলা কর্মীদের জন্য পৃথক বাসের ব্যবস্থা করেছেন বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা। একসঙ্গে এত গাড়ি কলকাতার অভিমুখে যাবে বলে আগে থেকে জাতীয় সড়কে ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিস। শনিবার রাত থেকে কোনও পণ্যবাহী ট্রাক জেলায় ঢুকতে দেবে না পুলিস। রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালকদের জন্য পানীয় জল ও বসার জায়গার বন্দোবস্ত করেছে জেলার পুলিস প্রশাসন। 


    লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসনেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এই বিপুল জয়ের পর জেলায় সেভাবে কোথাও বড় বিজয় উৎসব হয়নি। ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশকে ঘিরে এবার তাই বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে ধর্মতলামুখী করার টার্গেট নিয়েছে দল। এই জেলা দু’টি সাংগঠনিক জেলায় বিভক্ত। একদিকে বহরমপুর অপরদিকে জঙ্গিপুর। বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তরফে ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে ধর্মতলায়। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা থেকে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ যাবেন শহিদ সমাবেশে। পাশাপাশি তৃণমূলের দুই জেলার ছাত্র যুব সংগঠন প্রায় ৩০ হাজার যুবক যুবতীকে ধর্মতলামুখী করবে। সব মিলিয়ে এক লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ভিড় করবেন সেখানে। এই বিপুল মানুষের যাতায়াতের পথে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য পুলিসও তৎপর। জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, শনিবার রাত থেকে কোনও পণ্যবাহী ট্রাক জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করবে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকগুলিকে পার্কিং করে দেব। সেই ব্যবস্থা করেছি। যে সব গাড়ি রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাবে, তাদের চালকদেরকে সাবধানে গাড়ি চালানোর জন্য বলা হচ্ছে।


    জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, আমরা নেতারা আগে থেকেই কলকাতায় হাজির হয়েছি। জেলা থেকে প্রচুর মানুষ দু’দিন আগেই চলে এসেছেন। তাঁদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। যে সমস্ত কর্মী ট্রেনে আসছেন, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে তাঁদের রিসিভ করছি। ৩০ হাজারের বেশি লোক কলকাতার অভিমুখে রওনা দিয়েছে। বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, দুইদিন আগে থেকে কর্মী-সমর্থকরা কলকাতা যাওয়া শুরু করেছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)