• ‘অ্যান আইপিএস স্পিকস’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করলেন এসপি
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ২১। অর্থাৎ অকৃতকার্য। এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ। হাটে-বাজারে দুধ বিক্রি করে পরিবারের হাল ধরা। তারপরেও নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি আজ আইপিএস। শনিবার জলপাইগুড়ি প্রেসক্লারের উদ্যোগে ‘অ্যান আইপিএস স্পিকস’ অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের এই কাহিনি তুলে ধরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করলেন জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত। 


    এদিন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রয়াস হলে শহর এবং শহরতলী এলাকার প্রায় ২০টির বেশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে। ক্লাবের সম্পাদক শান্তনু কর বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। পুলিস সুপারের জীবন কাহিনি তাঁদের আগামী দিনের চলার পথে অনুপ্রাণিত করবে। সেই দিক চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। 


    পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, ফেল করা মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। সেই ফেল করা থেকেই শিক্ষা নিয়ে আরও ভালো করা যেতে পারে। তার জন্য চাই ইচ্ছা শক্তি। এটাকেই কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, সেটাই এদিন ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেছি নিজের জীবন কাহিনির মাধ্যমে।


    এদিকে, এদিন ইউপিএসসি থেকে শুরু করে অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও নেগেটিভ মনোভাব থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা সম্ভব সে বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পুলিস সুপার।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)