• আতঙ্কে এনায়েতপুরের ২ স্কুলে হাজিরা হাতেগোনা
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: এনায়েতপুরে বিদ্যুত্ পরিষেবাজনিত সমস্যার পর পথ অবরোধে পুলিস-জনতার সংঘর্ষ এবং গুলি চালানোর ঘটনার প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শনিবার এনায়েতপুরে দুটি হাইস্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা ছিল নামমাত্র। এনায়েতপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র গুলিতে আহত হওয়ার পর ভয়ের পরিবেশ থাকায় এই অনুপস্থিতি বলে দাবি অভিভাবকদের। অনুপস্থিতি ঘিরে চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষও। 


    মানিকচকের এনায়েতপুরে সংঘর্ষের ঘটনা দেখেছিল বেশকিছু ছাত্রছাত্রী। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ স্কুলে আটকে থাকতে হয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের। পরবর্তীতে জেলা পুলিস সুপারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী এলাকায় গেলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। সেদিন থেকে এনায়েতপুর জুড়ে বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট। থমথমে রয়েছে পরিবেশ।


    স্থানীয় অভিভাবক হাসিমুল আনসারি, খুশবারি বিবিরা বলেন, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়নি। পুলিস ধরপাকড় করছে। এক ছাত্রের গুলি লেগেছে বলে বাকিরাও ভয়ে রয়েছে। এখন স্কুলে পাঠানোর কথা ভাবছেন না অভিভাবকরা।


    আতঙ্ক যে রয়েছে, স্কুলে অনুপস্থিতির হারই তার প্রমাণ। এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা জোয়ারদার বলেন, বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী। শুক্রবার একজনও স্কুলে আসেনি। শনিবার ছিল মাত্র ১৮ জন পড়ুয়া। অনুপস্থিত ছিলেন মিড-ডে মিলের কর্মীরাও। ৮ আগস্ট থেকে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সেকেন্ড টার্মের পরীক্ষা। তাই ভয় কাটিয়ে সবার বিদ্যালয়ে আসা খুব জরুরী।


    একই অবস্থা এনায়েতপুর ই.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলে আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে গড়ে উপস্থিতির হার প্রায় আঠারোশো। শনিবার মাত্র দু’শো জন ছাত্রছাত্রী এসেছিল। এটা খুবই চিন্তার বিষয়। বৃহস্পতিবারের ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ছাত্রছাত্রীদের মনে। আমরা চাই তাদের ভয় কাটিয়ে স্কুলমুখী করতে প্রশাসনও উদ্যোগ গ্রহণ করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)