আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের প্রস্তাব থমকে, হতাশ ময়নাবাসী
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: বছর দুয়েক আগে মালদহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাজোল ব্লকের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের প্রস্তাব পঞ্চায়েত দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের অনুমোদন কার্যকর হয়নি। এনিয়ে ময়নার বাসিন্দারা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দ্রুত অনুমোদনের আর্জি জানিয়েছেন।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে ময়না গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনের দাবি বহু বছরের। সেজন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বেশকয়েক বছর আগে প্রধান, উপপ্রধান সহ বাকি সদস্যদের নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। সেখানে গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা অনুভব করে সভার অনুমতি নিয়ে পঞ্চায়েত ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে নতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম ময়না রাখারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েতের সেই আবেদন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে পাঠায়। সেই প্রস্তাব আবেদন আকারে রাজ্যেও পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরও আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মালদহ জেলা পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক বিল্লদল রায় কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, এখনও অনুমোদন আসেনি। প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত ২৫টি বুথ নিয়ে গঠিত। আলাল সদরের এক প্রান্তে রয়েছে ১৫টি বুথ। আর ২৩ কিমি ভিতরে অন্যপ্রান্তে ময়নাতে রয়েছে বাকি বুথগুলি। তবে পঞ্চায়েত ভবন অফিস রয়েছে আলালের একবারেই সদর এলাকায়। ময়নার বাসিন্দা মলয় সরকার বলেন, আমাদের এখান থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ২৩ কিমি। কোনও কাজে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস যেতে টাকা ও সময়- দুটোই নষ্ট হয়। এখনও প্রস্তাব অনুমোদন না হওয়ায় হতাশ ময়নার বাসিন্দা। মলয়ের সংযোজন, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস যেতে আসতে আমাদের ৭০ টাকা খরচ হয়ে যায়। ফলে অনেকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস যেতে চান না। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। গ্রাম পঞ্চায়েত ভাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস।