• লাইসেন্স ছাড়া কারখানা গড়েছিল জেলখাটা বাজি ব্যবসায়ী আক্রম
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জীবনতলার পিয়ালিতে বেআইনি বাজি কারখানা। তার ভিতরে খুঁজে পাওয়া ল্যাবরেটরিটি নিয়ে রহস্য অব্যাহত। যে ন’জনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তার মধ্যে এই কারখানার মালিক আক্রম মোল্লাও রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে পুলিস জানতে পেরেছে, চম্পাহাটির হাড়ালে আক্রমের বাড়ি। সেখানে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি করার অভিযোগে চার-পাঁচবার বারুইপুর থানার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তারপর বিনা লাইসেন্সে পেল্লায় আকারের এই কারখানা চালু করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের ধারণা, কোনও কারণে হাড়ালে সুবিধা করতে না পেরে পিয়ালির এই নির্জন এলাকা কারখানার জন্য বেছে নিয়েছিল আক্রম। 


    এই কারখানাটি সিল করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিস পাহারাও। ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক পাঁচ দিনের জন্য পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের আসার কথা থাকলেও, তারা আসেননি। সোমবার আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে পুলিস।  ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির অন্তর্গত পিয়ালির এই বাজি কারখানাটি আট-ন’মাস মাস ধরে তৈরি হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সেখানে জনা পঁচিশেক মহিলা কাজ করতেন। এলাকার বাসিন্দাদের কথা শোনার পর তদন্ত করে পুলিস জানতে পেরেছে, কারখানায় বাজি প্যাকেজিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হতো মহিলাদের। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, নির্জন একটি জায়গায় এমন একটি কারখানা তৈরি হয়ে গেল অথচ প্রশাসন খোঁজ পেল না? চম্পাহাটির হাড়ালে যেসব বাড়ি বা কারখানায় বাজি তৈরি হয়, সেখানে কোথাও এমন আধুনিক ল্যাবরেটরি নেই। আক্রম বাজি কারখানায় গবেষণাগার তৈরি করেছিল কী উদ্দেশে? এর আড়ালে কী অন্য কোনও বৃহৎ পরিকল্পনা ছিল? আক্রমকে জেরা করে সব তথ্য মিলবে বলে আশা তদন্তকারীদের। 
  • Link to this news (বর্তমান)