• প্রসবের পরই সদ্যোজাত সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার চেষ্টা, গ্রেপ্তার
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শিশুপুত্র প্রসব হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবেশী যে যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে এই সন্তান, তার সঙ্গেও লেগেছিল গোলমাল। তাই প্রসবের পরেই সদ্যোজাতকে জীবন্ত পুঁতে ফেলার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। অভিযোগ, বাড়ির কাছে ঝোপের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে ওই সদ্যোজাতকে কাঠ দিয়ে চাপা দিয়ে দেন তিনি। যদিও কান্না শুনে স্থানীয় মহিলারা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তার। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্দিরবাজার থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত মহিলাকে। ওই বধূর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মন্দিরবাজার থানার সদাশিবপুর গ্রামে। ধৃতকে শনিবার ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম চমৎকারী ঘোড়ুই।


    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, ৩০ বছর আগে সদাশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা চমৎকারীর বিয়ে হয়েছিল উস্থির বামনা গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ ঘোড়ুইয়ের সঙ্গে। বিয়ের কয়েক বছর পরেই দাম্পত্য অশান্তির কারণে তাঁর স্বামী অন্যত্র থাকতে শুরু করেন। এই দম্পতির একটি ছেলে ও মেয়েও আছে। এরপর শুক্রবার চমৎকারী এক পুত্রসন্তান প্রসব করেন। তারপরেই বাড়ির কাছে ঝোপের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে সেই সদ্যোজাতকে ফেলে দেন। এরপর সেখানে কাঠচাপা দিয়ে দেন। যদিও পরে ঝোপের মধ্যে থেকে সদ্যোজাতের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় মহিলারা। তাঁরাই ছুটে এসে কাঠ সরিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই কথা ছড়িয়ে পড়তে গ্রামের লোকজন তীব্র ক্ষোভ জানান। মন্দিরবাজার থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে তদন্ত করে অভিযুক্ত চমৎকারী ঘোড়ুইকে গ্রেপ্তার করে।


    কেন নিজের সদ্যোজাত পুত্রকে খুন করলেন চমৎকারী? এই প্রশ্নে তদন্তকারী অফিসাররা বলেন, দুই বছর ধরে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বধূ। তার ফলেই শুক্রবার শিশুসন্তান প্রসব করেন তিনি। কিন্তু ওই প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয় এর মধ্যে। তাই পিতৃ পরিচয় নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয়ে সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে ঝোপে ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
  • Link to this news (বর্তমান)