• বাড়িভাড়া নিয়ে অশ্লীল ভিডিও শ্যুট, চলত সেক্সটরশনও
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি,  কলকাতা: নীল-সাদা তিনতলা বাড়ি। একতলায় চলে নীল ছবির শুটিং। আর তিনতলায় সেক্সটরশনের প্রতারণা চক্রের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজারহাটের বসিনা গ্রামের মানিকতলার ওই বাড়িতে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিস। বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস করলেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় পুলিস ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ইমরান তরফদার, একজন মহিলা সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাড়ির মালিক এন্তাজুল গাজিকে কেন পুলিস গ্রেপ্তার করল না সেই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ধৃতদের শনিবার বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হয়।


    তিনতলা বিলাসবহুল বাড়ি। দিন রাত বহিরাগতদের ভিড় লেগেছিল। বহিরাগত অনেক মহিলাদেরও যাওয়া-আসা ছিল। এলাকাবাসীদের কেউ জানতেন ওখানে কলসেন্টারের অফিস চলে, আবার কেউ জানতেন ভাড়াটিয়ারা আসা যাওয়া করেন। কিন্তু আদপে কি চলত তা জানা ছিল না কারও। পুলিস জানিয়েছে, রঙিন আলোয় মোড়া বাড়িতে সেক্সটরশন চক্র চালাত একদল বহিরাগত। তারা বহু মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডিসি (নিউটাউন) মানব শ্রিংলা বলেন, ‘রাজারহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটা বেআইনি কল সেন্টার চলছিল। সেখানে একটি চক্র সেক্সটরশন চালাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। আমরা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।  


    পুলিস সূত্রে খবর, রাজারহাট থানার কাছে বসিনা গ্রামে ওই বাড়িটি কয়েকবছর আগে তৈরি করেছিলেন রাজারহাটের বাসিন্দা এন্তাজুল গাজি। নীল সাদা বাড়ির বাইরে প্রকাণ্ড দরজা, ভিতরে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রাখার জন্য বড় গ্যারেজ। এন্তাজুল কয়েকমাস আগে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন ইমরান তরফদার নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, বাড়ির একতলা জুড়ে আলাদা আলাদা বেশ কয়েকটি স্টুডিও তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে একাধিক ক্যামেরা লাগিয়ে ভিডিও শ্যুট করা হতো। অভিযোগ, নীল ছবির শুটিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফোন নম্বর ধরে ভিডিও কল করা হতো। 


    বিধাননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ আধিকারিকের নেতৃত্বে রাজারহাট থানার পাশাপাশি বিধাননগর গোয়েন্দারা ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩২টি সিম বক্স, আড়াইশোর বেশি সিম কার্ড, সেক্সটয়, একাধিক ব্যাঙ্কের ৪৭টি এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক পাস বই উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে একাধিক মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা, ক্যামেরার স্ট্যান্ড প্রভৃতি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে পুলিস। সেখানেও একই কাজ চলত বলে অভিযোগ।
  • Link to this news (বর্তমান)