আইভি ফ্লুইড থেকে প্রসূতিদের মারণ সংক্রমণের আশঙ্কা চুঁচুড়ায়
বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া ও কলকাতা: চুঁচুড়া হাসপাতালে সিজার হওয়া প্রসূতিদের ‘অজানা’ সংক্রমণ ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে। ঘটনার তদন্তে শনিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে আসে স্বাস্থ্যভবনের প্রতিনিধি দল। যদিও গোটা বিষয়ে হাসপাতাল প্রশাসন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সূত্রের খবর, প্রসূতিদের দেওয়া আইভি ফ্লুইড এবং ওষুধ থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।
চুঁচুড়া হাসপাতালে সিজার হওয়া পাঁচ প্রসূতির শরীরে অজানা সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে। কলকাতার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনজন। এই তিনজনের একজন রয়েছেন ভেন্টিলেটরে। আরও দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পঞ্চমজন চিকিৎসাধীন চুঁচুড়া হাসপাতালে। কেন এমন হল, শুক্রবার তা জানার চেষ্টা করে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। নিশ্চিত কারণ না মিললেও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, প্রসূতিদের দেওয়া ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড এবং ওষুধ থেকে সংক্রমণ হতে পারে। হতে পারে অ্যানাসথেসিয়া অর্থাৎ অজ্ঞান করার ওষুধ প্রয়োগে ত্রুটি, অ্যাবডোমিনাল প্রেশার বেড়ে যাওয়া, মূত্রথলি থেকে সংক্রমণের মতন ঘটনাও। সবগুলিই কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে জীবিত সংক্রমিত প্রসূতিদের মধ্যে এবং সদ্য মৃতার মধ্যেও রেনাল বা কিডনি ফেলিওরের সমস্যা দেখা যায়।
গোটা ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শনিবার চুঁচুড়া হাসপাতালে এসে পৌঁছয় স্বাস্থ্যভবন গঠিত তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি। তাদের আসার কথা ছিল সোমবার। স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশে তড়িঘড়ি শনিবারই পৌঁছয় তিন মহিলা সদস্যের দলটি। দু’জন সিনিয়র স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ (এন আর এস এবং রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগের প্রধান) এবং একজন নার্সিং কর্ত্রী ছিলেন দলে। প্রসূতি বিভাগ, ওটি সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন সুপার, ঘটনার দিন ডিউটিরত চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মীদের সঙ্গে। প্রায় ছ’ঘণ্টা ছিলেন তাঁরা। বিকেলে প্রচুর নথিপত্র নিয়ে তাঁরা ফিরে যান বলে জানান সুপার ডাঃ অমিতাভ মণ্ডল।