এই সময়, হাওড়া: আজ, রবিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সভা। সেখানে যাওয়ার জন্য শনিবার থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন হাওড়া স্টেশনে এসে জড়ো হচ্ছেন। তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শামিয়ানা খাটিয়ে রান্নাবান্না চলে সারাদিন। ভিন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের গাইড করে বিভিন্ন রাত্রিবাসের শেল্টারে পাঠাতে হাওড়া স্টেশনের উল্টো দিকে লঞ্চঘাটের সামনে অর্ভ্যথনা মঞ্চ তৈরি করা হয়।ওই মঞ্চে তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি ছাড়াও ছিলেন জেলার একাধিক বিধায়ক। একুশে জুলাইয়ের আগের দিনের মেনুতে প্রতি বছরই থাকে ডিমের ঝোল। কিন্তু শনিবারে অনেকেই নিরামিষ খান বলে এ দিন অনেক জায়গাতেই ডিমের ঝোলের পরিবর্তে ছিল সেদ্ধ ডিম। যারা আমিষ খাবেন, তাঁদের হাতে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ডিমসেদ্ধ।
সব্জির আকাশছোঁয়া দামের কারণেই এ বার মেনুতে ছিল না চিরপ্রচলিত পাঁচমিশেলি সব্জির ছ্যাঁচড়াও। উত্তর হাওড়ার প্রায় ২৫ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের জন্য এ দিন রান্না করা হয় ভাত, রাজমা ও সয়াবিনের তরকারি। সেখানে রাঁধুনির সঙ্গে খুন্তি নাড়তে দেখা গেল প্রবীণ মন্ত্রী অরূপ রায়কে।
এ দিন সকাল থেকেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া স্টেশনে আসতে শুরু করেছেন। সেখান থেকে বাসে করে তাঁদের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম স্টেডিয়াম ও কলকাতার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রবিবারের সভা ঘিরে হাওড়া স্টেশন চত্বর তৃণমূলের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। বিশাল গেট তৈরি করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য কুড়িটি লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫টি ভূতল পরিবহণ সংস্থা এবং পাঁচটি হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির লঞ্চ। এ ছাড়া থাকছে বাসের ব্যবস্থা। রবিবার মিছিল করে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
শনিবার সকালে বেশির ভাগ তৃণমূল কর্মী লোকাল ট্রেনে চড়ে হাওড়া স্টেশনে নেমেছেন। বিকেলে দূরপাল্লার ট্রেনেও বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এসেছেন। তাঁদের গাইড করে কলকাতা ও হাওড়ার আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় অভ্যর্থনা মঞ্চ দেখে গিয়েছেন।
অরূপ বলেন, ‘২১ জুলাই মানে আবেগ। যে যেখানেই থাকুক ২১ জুলাই মিটিংয়ে সবাই ধর্মতলায় আসেন। শুধুমাত্র হাওড়া স্টেশন নয়, দ্বিতীয় হুগলি সেতু-সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের অভ্যর্থনা জানাতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ প্রায় ২৫ হাজার তৃণমূল কর্মীর জন্য হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডের শ্রীরাম বাটিকা ও শ্যাম গার্ডেনে শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিন সকালে অরূপ রায় ও উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী ওই দু’টি শিবির পরিদর্শন করেন।