• পাতে সয়াবিন ও ডিম, মশা থেকে রক্ষারও ব্যবস্থা
    এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়: কলকাতা ও আশপাশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এই অবস্থায় আজ, একুশে জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশে যোগ দিতে দূরের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যে সব জায়গায় রয়েছেন, সেখানে মশা দমনে করা হয়েছে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ। কলকাতা পুরসভা ও বিধাননগর পুরনিগমের বিশেষ টিম কাজ করছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, আলিপুরের উত্তীর্ণ এবং ইডেন গার্ডেন্স লাগোয়া ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে।শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতায় আসা কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল সমর্থকদের থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে ওই সব জায়গায়। যেখানে পুরসভা, পুরনিগমের বিশেষ টিম গত সাত দিন ধরে ফগিং করছে, মশা মারার তেল স্প্রে করছে।

    তৃণমূল সূত্রের খবর, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এ বার প্রায় ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। শনিবার সকালে প্যান্ডেলের ভিতরে ঢু মারতেই নজরে পড়ল এলাহি আয়োজন৷ চাল, ডাল, আনাজপাতি থেকে জলের বোতল— সবই মজুত৷ এ দিন বিকেল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক এসে পৌঁছেছেন সেন্ট্রাল পার্কে। জেলা থেকে আসা কর্মীদের পাতে দুপুরে পড়েছে ভাত, পাঁচ তরকারি ও ডিমের ঝোল।

    কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আসা ২৫ হাজার কর্মী-সমর্থকের থাকার ব্যবস্থা। তদারক করার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘শনিবার সন্ধে পর্যন্ত ১১ হাজার মানুষ এসেছেন। বাকিরা চলে আসবেন রাতের মধ্যে। সবার জন্য ভাত, ডাল, সয়াবিন-আলুর তরকারি ও ডিমের ঝোলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

    কর্মীদের জন্য যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না-হয়, সে জন্য হোর্ডিং টাঙিয়ে তাতে দিকনির্দেশ চিহ্নের মাধ্যমে খাবারের জায়গা, শৌচালয় দেখানো হয়েছে ক্যাম্পগুলোয়। জেলা থেকে আসা সমর্থকদের যাতে কোনও ধরনের অসুবিধে না-হয়, সেটা দেখার জন্য রাখা হয়েছে যুব তৃণমূলের সদস্যদের।

    সেন্ট্রাল পার্কের প্যান্ডেল তৈরির দায়িত্বে থাকা রাজা বণিকের বক্তব্য, ‘গত পাঁচ দিন ধরে আমরা এখানে কাজ করছি৷ আমরা ছাড়াও বেশ কয়েক জন প্যান্ডেলের দায়িত্বে রয়েছেন৷’ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে আসা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে আলিপুরের উত্তীর্ণ স্টেডিয়ামে। সব মিলিয়ে সেখানে ৭ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা। তদারক করার দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘মেনুতে ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারি, ডিম রাখা হয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)