• ২১-এর সকালে ২৬-এর 'প্রতিপক্ষ' চিহ্নিত করলেন অভিষেক, বার্তা তৃণমূল সরকারকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলকে বড় জয় এনে দিয়েছিলেন। তারপর অবশ্য 'বিরতিতে' গিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিপর্বে 'অনুপস্থিত' ছিলেন অভিষেক। এই আবহে তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন সকালে প্রকাশিত দলীয় মুখপত্রে তিনি লিখলেন - '২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল উপভোগ করার, কিন্তু আত্মসন্তুষ্টি নয়'। এই শীর্ষক নিবন্ধে ২১ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বর্তমান প্রেক্ষিতে বার্তা দিলেন অভিষেক। এই নিবন্ধে জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে সরকার পরিচালনা এবং দলীয় সংগঠন নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন ঘাসফুল শিবিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড।



    নিজের নিবন্ধে রাম জন্মভূমিতে বিজেপির হারের কথা উল্লেখ করে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক। এদিকে শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে বিজেপির উদ্দেশে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক। নিট এবং নেট পরীক্ষায় যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেটাকে হাতিয়ার বানিয়েও বিজেপিকে তোপ দেগেছেন তিনি। রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সব অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা নিয়ে তদন্ত চালানো কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


    এদিকে নিজের লেখার মাধ্যমে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে দলের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবাণী, লোকসভা ভোটের ফলাফলের কারণে যেন দলের মধ্যে আত্মসন্তুষ্টি দেখা না দেয়। সেখানে তিনি নতুন 'শত্রুর' কথা তুলে ধরেন - 'প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা'। অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, শুধুমাত্র সংগঠন দিয়ে তার মোকাবিলা করা যাবে না। মন্ত্রী-আমলা-সরকারকে এর জন্যে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক।


    লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজনীতি থেকে 'বিরতি' নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে অভিষেক জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য রাজনীতি থেকে কিছুদিনের বিরতি নিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়েছিল। এর মাঝে অবশ্য অভিষেকের পেটে অপারেশন হয়। পরে শহরের বাইরে যান তিনি। কয়েকদিন আগেই আবার তিলোত্তমায় ফিরেছেন তৃণমূল সেনাপতি। তবে তা সত্ত্বেও তৃণমূলের 'সেনাপতি'র বিরতি নিয়ে এখনও কানাঘুষো চলছে দলের অন্দরেই। ২১-এর প্রস্তুতি দেখতে ধর্মতলায় যেতে দেখা যায়নি তাঁকে। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে দলের দুর্দান্ত ফলের পরে অভিষেক সংগঠন থেকে 'দূরে' চলে যান। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক দিকগুলি দেখতে শুরু করেন। যার ছাপ দেখা গিয়েছে উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও। এদিকে সরকারের বিভিন্ন স্তরেও কাজর্ম খতিয়ে দেখে মন্ত্রী-আমলাদের প্রতিনিয়ত ধমক দিতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)