স্টাফ রিপোর্টার: একপাশে অখিলেশ যাদব, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই তরুণ তুর্কিকে পাশে নিয়ে বসাটা আজ, রবিবার ২১শের মঞ্চে যদি প্রধান আকর্ষণ হয়, তবে মুখ্য বিষয় অবশ্যই হয়ে উঠবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বার্তা। বস্তুত, ২১শে জুলাইয়ের বাৎসরিক সমাবেশ থেকে বরাবরই নিজের রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মমতা।
৩১ বছর ধরে এদিন কলকাতায় জনস্রোত বয়ে যাচ্ছে। এখন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায়। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জিতেছে শাসক দল। স্বভাবতই আজ ২১শের সমাবেশ জনস্রোতে ভেসে যাবে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও ২১শে জুলাই বৃষ্টি হওয়াটাই দস্তুর। অভিষেক তাঁর অসুস্থতা কাটিয়ে বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে শহরে ফিরেছেন। আজ তাঁর বক্তব্যের দিকেও সবার নজর থাকবে। সবমিলিয়ে একদিকে কেন্দ্রবিরোধী লড়াই, অন্যদিকে দেড় বছর পর বিধানসভার ভোট, দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মমতা তাঁর রাজনৈতিক পথ তুলে ধরবেন। অর্থাৎ ’২৪-এর মঞ্চ থেকেই ’২৬-এর নির্বাচন লক্ষ্য করেই বার্তা দেবেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি, তৃণমূল করতে গেলে যে মানুষের পাশে থাকতে হবে, মাথা নত করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে সেকথা তুলে ধরে দলীয় কর্মীদের অনুশাসনের পাঠ দেবেন নেত্রী। দল ও সরকারের কিছু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসবই হবে ২১শের ঐতিহাসিক সমাবেশের পরে।
মূল মঞ্চে ওঠার জন্য যেমন বড় র্যাম্প থাকছে তেমনই জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও পুরসভার চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদ সভাধিপতিদেরও বসার জন্য পৃথক মঞ্চ থাকছে। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে এবারও বহু বিদ্বজ্জন এবং বুদ্ধিজীবীরাও শহিদ স্মরণের মঞ্চে থাকছেন। ৩১ বছর আগের ২১ জুলাইয়ের শহিদ পরিবার ছাড়াও মমতার আমন্ত্রণে এদিন মঞ্চে থাকবেন মরিচঝাঁপি, তেভাগা, নেতাই, সাঁইবাড়ি থেকে শুরু করে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবারের সদস্যরাও।
সমাবেশস্থলের চারপাশে তৃণমূল চিকিৎসা সেলের তরফে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়েছে। থাকছে ১০০-র বেশি অ্যাম্বুল্যান্স। বিশেষ টি-শার্ট পরে গোটা সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে ডিউটি করবেন আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ভারী বৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে জমা জল সরানো যায় তার জন্য পুরসভার বিশেষ টিম শনিবার থেকে ধর্মতলার চারপাশে মোতায়েন করে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়াও বৃষ্টির কারণে যাতে কোথাও গাড়ি বা বাস বসে না যায় সেই জন্য ৫০টির বেশি রেকারের ব্যবস্থাও এবার তৃণমূলের তরফে করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা থেকেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে শুরু করবে ধর্মতলার উদ্দেশে। হাওড়া ও শিয়ালদহ ছাড়াও উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এবং দক্ষিণ কলকাতার হাজরা থেকে মোট চারটি বিশাল মিছিল ধর্মতলায় আসবে।