'মানুষ বিরক্ত হয়, এমন কোনও কাজ করা যাবে না', দলীয় মুখপত্রে বার্তা মমতার
এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৪
'সবার উপরে মানুষ সত্য', ২১ জুলাইয়ের দিন দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-তে লেখা নিবন্ধে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৩ সালের 'রক্তাক্ত দিন' স্মরণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, '২১ জুলাই সেদিন ছিল এক ভয়ঙ্কর দিন, গণতন্ত্রের লজ্জা'। শহিদদের শ্রদ্ধা অর্পণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি 'দেশকে বিকল্প সরকার দিতে হবে', ডাক মমতার।২১ জুলাই 'শহিদ দিবস'-এ দলীয় মুখপত্রে 'আজ জনসমুদ্র ধর্মতলা, সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিতেই হবে' শীর্ষক নিবন্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, '১৯৯৩ সালের সেই রক্তাক্ত ২১ জুলাইয়ের প্রতিটি মুহূর্ত আমার মনে আছে, মনে থাকবে...সেদিন সিপিএমের পরিকল্পনা ছিল আমাদের কর্মীদের রাস্তায় আটকানো, তারপর সভাগুলো ভেঙে দেওয়া, তারপর আমাকে খুন করা।'
'২১ জুলাইয়ের সেই দিন গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার', কলমে জানিয়েছেন মমতা। ১৯৯৩ সালের এই দিনটিতে কলকাতা পুলিশেরই এক কর্মী বন্দুক বার করে চিৎকার শুরু না করলে তাঁর প্রাণও সংকটে ছিল, জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেদিন প্রবল ধস্তাধস্তিতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গণআন্দোলনে শহিদ পরিবারগুলির প্রতি কর্তব্যপালনের চেষ্টা করেন তিনি, জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২১ জুলাইয়ের সভায় মানুষের ঢল তাঁকে সাহস, অনুপ্রেরণা, উৎসাহ দেয় বলে উল্লেখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর লেখনীতে তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ, 'দেশকে বিকল্প সরকার দিতে হবে'। সেই সরকারের কাঠামোর 'সাত-পাঁচ'-ও বর্ণনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিকল্প সরকার ধর্মনিরপেক্ষ, সংবিধানের বার্তাবাহক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, জনমুখী নীতির ধারক, মেহনতি মানুষ, শ্রমিক, কৃষকের স্বার্থরক্ষাকারী সরকার হবে, উল্লেখ মমতার। সঙ্গে নেত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ সংযোজন, 'সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বাংলা।'
পাশাপাশি এদিন নিজের লেখায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো লিখেছেন, 'আমাদের তরফে কোনও ভুল থাকলে শুধরে নিতে হবে। মানুষ বিরক্ত হন, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। দল শেষ কথা।' তৃণমূলের বিরুদ্ধে অবিরাম কুৎসা-ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এই দাবি করে তা ব্যর্থ করার ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।