আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শহিদ দিবসের সমাবেশে হাজির তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। প্রথমবার একুশের মঞ্চে পা রাখলেন তৃণমূলের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পর বক্তা ছিলেন তিনি। পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে নারীশক্তির প্রসঙ্গে যেমন সুর চড়ালেন, তেমনই ভরা সমাবেশে দাদা শান্তনু ঠাকুরকেও বিঁধতে ছাড়লেন না।
বক্তব্যের শুরুতেই 'অগ্নিকন্যা' মমতা ব্যানার্জি, দাদা অভিষেক ব্যানার্জি সহ উপস্থিত সকল মন্ত্রী, বিধায়কদের প্রণাম জানান মধুপর্ণা। এরপর তাঁর বক্তব্য, 'বিজেপির উদ্দেশে আমার একটা প্রশ্ন আছে। যখনই নির্বাচন আসে, বাংলায় ওরা নারীশক্তির প্রসঙ্গে কথা বলে। অথচ ৭ এপ্রিল আপনাদের দলের মন্ত্রী, আমার দাদা শান্তনু ঠাকুর মাঝরাতে হামলা চালিয়ে ঘর থেকে আমার বিধবা মা, আমার দিদি, তার ছোট বাচ্চা, আমাকে এক কাপড়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা ঘিরে আজও কিছু বলেনি বিজেপি। নারীশক্তি কি তবে শুধুমাত্র ভোটের জন্য? বাংলার মানুষও বিজেপির আসল চেহারা বুঝে গেছেন। সকলে তাই তৃণমূলের পাশে।' মধুপর্ণার বক্তব্যের মাঝেই আজান শুরু হয়। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তৃতা থামিয়ে দেন তিনি।
মতুয়া মহামেলা চলাকালীন ঠাকুরমা বীণাপাণিদেবীর ঘর জোর করে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে আমরণ অনশনে বসেছিলেন মধুপর্ণা। অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। সেই সময়েই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলেছিলেন মধুপর্ণা। এরপরই আসল চমক। লোকসভা নির্বাচনের পর মতুয়া-মুখ হিসেবে তাঁকে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী করে তৃণমূল। রাজনীতিতে আনকোরা মধুপর্ণা প্রথমবার নির্বাচনে লড়েই জয়ী। বাগদা কেন্দ্রে তাঁর জয়ের পর প্রশংসায় ভরিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সক্রিয় রাজনীতিতে এসেই দাদা শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে নতুন উদ্যমে লড়াইয়ে নেমেছেন মধুপর্ণা। একুশের মঞ্চের বক্তব্যেও তা টের পেলেন মতুয়ারা।