আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার, ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস। অন্যান্য বছরের মতো, এবারেও মেগা সমাবেশ নিয়ে প্রস্তুতি, ব্যস্ততা তুঙ্গে ছিল। জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন সকালেই, অনেকে পৌঁছেছেন শনিবার রাতেই। মঞ্চ সহ সার্বিক পরিস্থিতি শনিবার সন্ধেয় খতিয়ে দেখে গিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। রবিবাসরীয় শহর সকাল থেকেই অপেক্ষার মুহূর্ত গুনছে হাইভোল্টেজ সভার।
সকালেই ধর্মতলা চত্বরে হাজির হতে শুরু করেন কর্মী সমর্থকরা। কিছুক্ষণেই একে একে হাজির হন নেতা নেত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের সপা নেতা অখিলেশ যাদব উপস্থিত ছিলেন এদিনের মঞ্চে। জল্পনা ছিল খোদ অভিষেকের উপস্থিতি নিয়ে। তিনি এলেন, বক্তব্য রাখলেন। বিস্তারিত বললেন, কেন ছিলেন বিরতিতে, কী করলেন ওই সময়ে।
সবকিছু ছাপিয়ে, বৃষ্টির পূর্বাভাস মাথায় নিয়ে জনতার ঢল নেমেছিল, প্রধান বক্তা, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য শোনার জন্য।
সকাল ৭.৫০: 'শহিদ স্মরণে আপন মরণে রক্ত ঋণ শোধ করো।
সকল শহিদদের আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।' শহিদ দিবসে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সমাজ মাধ্যমে বার্তা।
সকাল ৮.০০: নদীপথে কর্মী-সমর্থকরা আসছেন শহরে।
সকাল ৮.১৫: শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশনে ভিড়।
সকাল ৮.৩০: কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা বাড়ছে কলকাতার রাস্তায়।
সকাল ৯.০০: ভিড় বাড়ছে ধর্মতলা চত্বরে।
সকাল ৯.১৫: শহরের নানা জায়গা থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। চলছে মাইকিং-স্লোগান। গন্তব্য ধর্মতলা।
সকাল ৯.৪৫: সভা শুরুর আগেই বৃষ্টি। কেউ ছাতা মাথায় হাঁটলেন মিছিলে, কেউ ভিজলেন রাজপথে।
সকাল ১০.০০: ভিড়ের জেরে বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা।
সকাল ১০.২০: প্রস্তুতিতে উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি অভিষেকের। তবে ২১ জুলাই যেমন দলীয় মুখপত্রে লিখলেন, '২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল উপভোগ করার, কিন্তু আত্মতুষ্টি নয়।' তেমনই বার্তা দিলেন সমাজ মাধ্যমে।
সকাল ১০.৩০: অভিষেক লিখলেন, বাংলা বিরোধীদের কাছে মাথা নত নয়। আত্মসমর্পণ নয় কারও কাছে।
সকাল ১০.৪৫: রাজ্য সরকারের প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড, নকশা নিয়ে ধর্মতলায় কর্মী সমর্থকরা।
বেলা ১.০৬: বিরতিতে নেতা-কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করেছেন, এবার পদক্ষেপ নেবেন। মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের।
বেলা ১.০৭: এই লড়াই বাংলার মানুষের সম্মানের লড়াই: অভিষেক।
বেলা ১.০৮: কথা দিয়ে কথা রাখি: অভিষেক।
বেলা ১.০৯: ২০২২ সালের ২১ জুলাইয়ের সভার পরের দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল। তৃণমূল কখনও কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি। নিট পরীক্ষায় যে এত বড় দুর্নীতি হল একবারও কেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হল না? এই বৈষম্য কেন?: অভিষেক।
বেলা ১.৪০: অখিলেশকে ধন্যবাদ জানালেন, বক্তব্য শুরু মমতার।
বেলা ১.৪৫: তৃণমূল জমানায় কমেছে দরিদ্রসীমা: মমতা।
বেলা ১.৫৫: বৃষ্টি মাথায় বক্তব্য রাখছেন মমতা।
বেলা ২.০০: আমরা দুর্নীতি কাছে মাথা নত করব না: মমতা
বেলা ২.০৫: অন্যায় করলে দলের কাউকে রেয়াত নয়। নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা মমতার।
বেলা ২.১০: বৃষ্টির জল স্নান করলে ধুয়ে যাবে কিন্তু নোংরা গায়ে লাগলে সেটা ধোয়া যায় না: মমতা।
বেলা ২.১২: বিত্তবান চাই না। বিবেকবান চাই। সাধারণ ভাত, রুটি খেয়ে থাকব। অন্যায়ের সঙ্গে বা দুর্নীতির সঙ্গে আপস করব না। আমরা যত জিতব তত আমাদের নম্র হতে হবে, দায়িত্ব বাড়বে: মমতা।
বেলা ২.৩০: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর।
বেলা ২.৩৫: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যা বলার ভারত সরকার বলবে। আমি এটুকু বলতে পারি, যদি কোনও অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়েন, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে আশ্রয় দেব: মমতা।
বেলা ২.৩৬: বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন উত্তেজনায় না জড়াই। ওদের প্রতি আমার সহমর্মিতা আছে: মমতা।
বেলা ৩.০০: ২১ জুলাইয়ের সভা শেষে ধর্মতলা থেকে ফিরছেন কর্মী সমর্থকরা।