মহেশতলায় বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা
প্রতিদিন | ২১ জুলাই ২০২৪
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু! স্থানীয় এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পেছনের গেটের সামনে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই জানায় বাড়িতে। খবর যায় স্থানীয় থানায়। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে বাড়ির লোকের অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম তাপস মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৩৬। তিনি মহেশতলার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর দৌলতপুর কাছারি বাগান এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। তাপস এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর দেহ বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরিজনরা তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবক নিয়মিত নেশা করতেন। যেখান থেকে যুবকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন ওই যুবক ঘটনার সময় একাই ছিলেন। ওই কলেজের গেটের কাছে তিনি পড়ে যান। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে ওই যুবকের পাঁচ সঙ্গীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সকলেই শাসক দল ঘনিষ্ঠ। তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের দোল উৎসবের দিনেও ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। তখন ওই যুবকের পরিবার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাপস বিজেপি করে বলেই তৃণমূলের লোকজনেরা তাঁকে মারধর করেছেন। কিন্তু, ঠিক কি কারনে মৃত্যু বা কারা তাঁকে মেরেছে তা সঠিকভাবে কিছুই জানা যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।