উত্তাল প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। শুক্রবার থেকেই চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত হয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে ফেরা। আর রবিবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া এলেন ভারতে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এদেশের নাগরিক হলেও নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের বাসিন্দাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে যাতে পড়ুয়ারা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন তার জন্য স্পেশাল দশটি বাস চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা এনবিএসটিসি। এই বিষয়ে এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ' আগামী বেশকিছুদিন চ্যাংরাবান্ধা থেকে শিলিগুড়ির বাসস্ট্যান্ড ও বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত এই বাসগুলি যাতায়াত করবে৷'একইসঙ্গে কোচবিহার জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, রবিবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন মোট ৫৫০ জন পড়ুয়া৷ তার মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ৩৩৮ জন। এছাড়াও নেপালের ১৮৬ জন, ভুটানের ২৫ জন ও মালদ্বীপের ১ জন নাগরিক এদিন বাংলদেশ থেকে আসেন। বাংলাদেশের রংপুর ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়ুয়ারা এসেছেন চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে৷ তবে এদিন চিকিৎসার প্রয়োজনে আরও ২৮ জন বাংলাদেশের নাগরিকও ভারতে এসেছেন।
এদিকে আবার মালদার মহদিপুর সীমান্ত দিয়েও ফিরছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন পড়ুয়া ফিরেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভারতে ফিরছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, মালদার মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে গত গত কয়েকদিনে বেশকিছু ছাত্রছাত্রী ফিরেছেন। রবিবার ফিরলেন আরও প্রায় ১২০ জন ছাত্রছাত্রী। এই বিষয়ে মহদিপুর স্থলবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টম বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট দেশদুলাল চট্টোপাধ্যায় জানান, ছাত্রছাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা যাতে না হয় সেই জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা দ্রুত বাড়ি পৌঁছতে পারেন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। যদিও মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীদের ফেরার এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদশে থেকে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা আসছেন, তাঁদের সীমান্ত থেকে স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া বা বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করছে বিএসএফ। এক্ষেত্রে তাদের জন্য বিএসএফ-এর তরফেই বিশেষ পরিবহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মূলত ছাত্রছাত্রীরা যাতে সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।