• ওপারের অসহায় মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে আশ্রয় দেবে এপার, বাংলাদেশ নিয়ে 'মমতাময়ী' সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৪
  • সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। রবিবার সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে ওপার বাংলার সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে এদিনই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে উল্লেখযোগ্য বার্তা দিলেন এপার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওপার বাংলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি অসহায় মানুষ বাংলায় দরজায় কড়া নাড়লে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য তাঁর।গত চারদিন ধরে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। জারি কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে বাংলাদেশে বহু ভারতীয় পড়াশোনার জন্য যান। তার মধ্যে বাংলার পড়ুয়ারাও রয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসা, আত্মীয়তা সহ বিভিন্ন কারণে দুই বাংলার মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক খুবই চেনা দৃশ্য। বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে যখন গোটা বিশ্বে চর্চা, সেই সময় উল্লেখযোগ্য বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজায় খটখট করে সেক্ষেত্রে আমরা আশ্রয় দেব। কারণ এক্ষেত্রে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অঙ্গীকার রয়েছে, কেউ যদি উদ্বাস্তু হয়ে আসেন সেক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী এলাকা তাঁকে সম্মান জানাবে।'

    একইসঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে যেন এপার বাংলা সংযত আচরণ করে, সেই বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাঁরই রক্ত ঝরুক তাঁদের জন্য সহমর্মিতা রয়েছে। আমরা দুঃখ পেয়েছি। খবর রাখছি।'

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে রবিবারই হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র তথ্য মোতাবেক, চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। দেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাত শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ রাখা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। বাকি দুই শতাংশ থাকছে অন্যান্য শ্রেণিভুক্তদের জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগ হবে মেধার উপর ভিত্তি করে।
  • Link to this news (এই সময়)