লোকসভায় নাক কাটা গিয়েছে যে সব পুরসভায় ফল ভুগতে হবে সেখানকার পুরপ্রধানদের: অভিষেক
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জুলাই ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আশাতীত ফল করলেও তৃণমূল কংগ্রেসের গলায় এখনো বেঁধে রয়েছে একের পর এক পুরসভায় পিছিয়ে থাকার কাঁটা। রবিবার তা টের পাওয়া গেল দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। যে সব পুরসভায় লোকসভা নির্বাচনে দল পিছিয়ে রয়েছে সেখানকার পুরপ্রধান ও শহর সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বেঁধে দিলেন সময়সীমাও।
এদিন অভিষেক বলেন, ‘পুরসভার নির্বাচনে আমি টিকিট পাব আর আমার ওয়ার্ড থেকে জিতব। আর লোকসভা ও বিধানসভায় দল প্রত্যাশিত আশানুরূপ ফল করবে না তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে। যতবড় নেতার ছত্রছায়ায় আপনি থাকুন।’
পঞ্চায়েতের নেতাদেও হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘পঞ্চায়েতে আপনি টিকিট পাবেন, আপনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান – উপ প্রধান। আপনি আপনার ভোটে জিতবেন। বিধানসভা - লোকসভায় আপনি ভাববেন মমতা ব্যানার্জি বা অভিষেক ব্যানার্জি এসে একটা মিটিং করবে, প্রার্থী জিতবে। গায়ে গতরে যে পরিশ্রম আপনি নিজের নির্বাচনে করেন, সেই পরিশ্রম প্রত্যেকটা নির্বাচনে করতে হবে। আর যারা ভাবছে আমরা আমাদের নির্বাচনে করব এক আর পার্টির অন্য নির্বাচনে পার্টি নিজেরটা বুঝে নেবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এর ফল আপনারা দেখবেন।’
এর পরই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সব পুরসভায় দলের ফল খারাপ হয়েছে সেখানে পুরপ্রধান ও শহর সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। যে পঞ্চায়েতে ফল খারাপ হয়েছে সেখানে প্রধান ও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দল পদক্ষেপ করবে।’
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় রাজ্যের পুরসভাগুলির মধ্যে ৬৭টিতে এগিয়ে বিজেপি। ৫০টিতে এগিয়ে তৃণমূল। ২টিতে ২ জনের প্রাপ্ত ভোট প্রায় সমান। যদিও ২০২২ সালে রাজ্যের পুর নির্বাচনে ২টি পুরসভা বাদে সবকটির দখল নেয় তৃণমূল। বাদ ছিল শুধু ঝালদা ও তাহেরপুর পুরসভা। তার মধ্যে ঝালদা পুরসভার দখলও পরে নিয়ে নেয় তৃণমূল। অর্থাৎ এখন রাজ্যে একমাত্র বিরোধী পরিচালিত পুরসভা তাহেরপুর।
বিরোধীদের দাবি, লোকসভা ভোটের ফলে পুরসভা নির্বাচন হয়েছিল রাজ্যের তত্ত্বাবধানে। সেখানে ভোটের নামে যে কী হয়েছে তা লোকসভা ভোটের ফলে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বিরোধীশূন্য একের পর এক পুরসভায় লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলে অনেক পুরসভায় তৃণমূল কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।