কোটা আন্দোলনে জ্বলছে বাংলাদেশ, হিলি সীমান্তে বন্ধ বাণিজ্য
প্রতিদিন | ২২ জুলাই ২০২৪
রাজা দাস, বালুরঘাট: কোটা আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। জারি কারফিউ। নামানো হয়েছে সেনা। এই পরিস্থিতিতে পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙার পর হিলি সীমান্তেও বন্ধ আমদানি-রপ্তানি। তার ফলে থমকে বাণিজ্য। বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা জানান, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। তার ফলে আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সোমবার পর্যন্ত আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রপ্তানি করার জন্য কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে রপ্তানিকারকদের।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে সীমান্ত বাণিজ্য। শনিবারই তার প্রভাব দেখা যায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙায়। পেট্রাপোল বন্দরে শনিবার সকালের দিকে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা স্বাভাবিক ছিল। তবে বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশ একেবারেই বন্ধ। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে কারফিউর পাশাপাশি বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। ফলে সীমান্তে পণ্যবোঝাই ট্রাক পৌঁছে গেলেও ওপার থেকে অনলাইনে চালান মিলছে না। ফলে থমকে আমদানি-রপ্তানি। সেইসঙ্গে সড়কপথে সীমান্ত পারাপারও বন্ধ।
উল্লেখ্য, যদিও মুক্তিযোদ্ধা সংরক্ষণ মামলায় প্রায় প্রায় তিনঘণ্টা ধরে শুনানি চলার পর রায় দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং পড়ুয়াদের ক্লাসে ফিরে যেতে আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি অশান্তির পর্ব পেরিয়ে শান্ত হবে বাংলাদেশ? নাকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জন্ম নেওয়া এই প্রতিবাদ বদলে যাবে ‘হাসিনা হঠাও’ অভিযানে? অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়।