আলিপুরদুয়ারে পার্ক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের খেলার সরঞ্জাম, ক্ষোভ বাড়ছে
বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার পুরসভায় বেহাল হয়ে পড়েছে দু’টি পার্ক। পাশাপাশি পার্কে থাকা শিশুদের খেলার সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অন্যদিকে, প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও এবং জায়গা বাছাইয়ের পরও ৪ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য পুরসভার নতুন দু’টি পার্কের কাজ শুরু হয়নি। যা নিয়েও ক্ষুব্ধ ওয়ার্ডবাসী। যদিও পুরসভার সাফাই, বেহাল পার্কগুলির সংস্কার ও নতুন দু’টি পার্ক তৈরির জন্য পুরদপ্তরে ডিপিআর পাঠানো আছে।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্র শিশুউদ্যানটি পুরসভার লাভজনক পার্ক। প্রতিদিন পার্কটি খোলা হয়। পাঁচ টাকা এন্ট্রি ফি। শনি ও রবিবার ব্যাপক ভিড় হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্চিতা দাস বলেন, এন্ট্রি ফি নেওয়ার পরও পার্কের খেলনা রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। শিশুদের মিকি-মাউস ও দোলনা বেহাল। বোটে চড়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু জল এতটাই নোংরা যে, কেউ চড়তে চান না। পার্কে মশা-মাছির উপদ্রবের জন্য সবসময় আতঙ্কে থাকি।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে তারা মায়ের মন্দিরের পিছনে বাবুপাড়া রেলগেট সংলগ্ন শিশুদের জন্য পুরসভার একটি পার্ক ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই পার্কও বেহাল। পার্ক থেকে হারিয়ে গিয়েছে শিশুদের খেলার সরঞ্জাম। স্থানীয় কাউন্সিলার পার্থ সরকার বলেন, পার্কটি নতুন করে ঢেলে সাজাতে পুরসভায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন মাম্পি অধিকারীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতনগরে একটি নতুন পার্ক তৈরির জন্য জায়গা দেখা হয়েছে অনেকদিন আগে। প্রাচীরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আজও শিশুদের জন্য উদ্যান গড়ে ওঠেনি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। একইভাবে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি রোড পাওয়ার হাউস পুকুরপাড় এলাকাতেও শিশুদের জন্য পার্ক তৈরির জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেও পার্ক বানানো হয়নি। কাউন্সিলার সুস্মিতা রাহা দাস বলেন, পার্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম পুরসভায়। দেখা যাক, কী হয়।
পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করের সাফাই, পুরনো পার্ক দু’টি ঢেলে সাজাতে এবং ৪ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি নতুন পার্ক তৈরির জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে ডিপিআর পাঠানো হয়েছে পুরদপ্তরে। সবমিলিয়ে এক কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ মঞ্জুর হলেই কাজ শুরু হবে।