মিল্টন সেন,হুগলি : ধর্মতলার শহীদ সমাবেশে হুগলি থেকে যোগ দিলেন রেকর্ড সংখ্যক কর্মী সমর্থক। তাঁদের মধ্যে অবশ্যই মহিলা কর্মীদের সংখ্যাটা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল। আন্দাজ করা যাচ্ছিল কারণ, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বিরোধীদের হাতে থাকা দুই আসন উদ্ধার হয়েছে। তার পরে রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ চাঙ্গা করেছে কর্মীদের মনোবল।
তবুও শহীদ দিবসের লক্ষে প্রস্তুতিও চলছিল অনেক আগে থেকেই। একদিকে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বেচারাম মান্না এবং স্নেহাশীষ চক্রবর্তী অপরদিকে চারবারের সাংসদ কল্যান ব্যানার্জির নেতৃত্ত্বে দিন রাত লাগাতার চলেছে প্রচার। তার পরেও ধর্মতলার সভা সফল করতে ময়দানে চিকেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং বিধায়ক সকলেই।
তারই ফল স্বরূপ রবিবার সকাল থেকে নজরে পড়েছে ট্রেন, জল, সড়ক পথে শহীদ সমাবেশের লক্ষে হাজার হাজার তৃনমূল কর্মি সমর্থকরা। হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া থেকে উত্তরপাড়া সব রেল স্টেশনে ছিল দলীয় পতাকা ব্যানার হাতে কর্মী সমর্থকদের ভিড়। চুঁচুড়া ব্যান্ডেল চন্দনগর সহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেনে করে হাওড়া রওনা হন, সেখান থেকে পায়ে হেঁটে ধর্মতলা শহীদ সভায় যোগ দেয় সমর্থকরা।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুফল পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই স্বাভাবিক কারণেই ২১ জুলাই শহীদ সভার লক্ষে স্টেশনে স্টেশনে উপচে পড়েছিল মহিলা কর্মী সমর্থক দের ভিড়। ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে যেতে দেখা যায় ব্যান্ডেলের মহিলা তৃণমূল কর্মিদের। এদিন তারা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার তাদের কাছে বড় পাওনা। দিদি অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ দিতে চান তারা। তাই ধর্মতলা যাচ্ছেন।
মহিলাদের কাছে প্রতি মাসে এই টাকা অনেক বড় ব্যাপার। মহিলারা বলেন, মানুষ দিদিকে চায় সেটা প্রমানিত। আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের তো বিশেষ ভূমিকা আছেই। এদিন জল পথেও ধর্মতলা সভায় যাত্রা করেন কর্মীরা। উত্তরপাড়া ফেটিঘাট থেকে লঞ্চে করে তৃনমূলের ধর্মতলা সমাবেশে যাত্রা করেন । উত্তরপাড়া শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই লঞ্চ ছাড়ার ব্যাবস্থা করা হয়। লঞ্চে করে কয়েকশ মহিলা কর্মী গিয়ে ধর্মতলার সভায় যোগ দেন।