• কচুরিপানায় ফের আবদ্ধ জলঙ্গি, তেহট্টে ফেরি চলাচল বন্ধ 
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: কচুরিপানার জন্য ফের তেহট্টে বন্ধ হল ফেরি চলাচল। রবিবার সকাল থেকে তেহট্ট-১ ব্লকের কুলগাছি চাঁদেরঘাটে ফেরি পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকা চালাতে পারেনি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। ছুটির দিন থাকায় যাত্রী কম থাকলেও যাঁরা পারাপারের জন্য এসেছিলেন দুর্ভোগের শিকার হন। প্রায় ২০কিমি ঘুরে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়েছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় জলঙ্গি নদীর ফেরিঘাটগুলিতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করা হয়। বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে নৌকায় পারাপার করেন বাসিন্দারা। নদীতে জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের সাঁকো খুলে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। তেহট্ট খেয়া ঘাট হোক বা হাঁসপুকুরিয়া বয়েরবান্ধা ফেরিঘাট, এই চিত্র সব জায়গাতেই দেখা যায়। আর যেখানে বাঁশের সাঁকো খুলতে দেরি হয় সেখানে কচুরিপানা জমতে থাকে। কিছুদিন ধরে কুলগাছি ঘাটের সাঁকোর একপাশে বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা জমা হয়। কচুরিপানার চাপে বাঁশের সাঁকোর ব্যারিকেড ভেঙে যায়। ফলে সারা নদী কচুরিপানায় ভরে যায়। নদীর জল আর দেখা যাচ্ছে না। ওই কচুরিপানা যতক্ষণ না পরিষ্কার হচ্ছে ততক্ষণ নৌকা চলাচল সম্ভব নয়।  তেহট্ট খেয়াঘাটে কচুরিপানা সরে নৌকা চলাচল স্বাভাবিক হতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা  সময় লেগেছিল। কুলগাছিতে পরিস্থিতি ঠিক কখন স্বাভাবিক হবে, তারই প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা। নৌকা না চলায় সমস্যায় পড়েছেন তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও চাঁদেরঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ জন। তবে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে চাঁদেরঘাটের মানুষকে। কারণ চাঁদেরঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ মানুষকে নানা কাজে তেহট্টে আসতে হয়। তেহট্টেই রয়েছে বিডিও অফিস, এসডিও অফিস, আদালত, মহকুমা হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, কলেজ সহ বিভিন্ন দপ্তর। বিভিন্ন পড়ুয়া তেহট্টে আসে টিউশনির জন্যও। আবার তেহট্টে রয়েছে অনলাইন ডেলিভারি অফিস। তাদের কর্মীদেরও চাঁদেরঘাট যেতে হয় প্রায় দিন। সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার স্থানীয় সমাধান চাইছেন। তেহট্ট ঘাটে পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। 


    কুলগাছি ঘাটের ইজারাদার অসীম বারিক বলেন, কখন কচুরিপানা পরিষ্কার হবে তা বলা যাচ্ছে না। যদি স্রোত বেশি হয় তাহলে রাতে কচুরিপানা পরিষ্কার হতে পারে।
  • Link to this news (বর্তমান)