• খানাকুলে ৩ বছর ধরে বন্ধ বাসস্ট্যান্ড, এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ধরতে হয় বাস, ক্ষোভ
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: একুশের ভয়াবহ বন্যায় খানাকুলের বন্দর বাসস্ট্যান্ডটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর থেকে তিনবছর ধরে বাসস্ট্যান্ডটি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের এক কিমি দূরে গিয়ে বাস ধরতে হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড ঢোকার ব্রিজটিও সংস্কারের অভাবে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস না চলায় কার্যত মাছি তাড়ানোর অবস্থা ব্যবসায়ীদেরও। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত বাসস্ট্যান্ডটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন।  এসডিও সুভাষিনী ই বলেন, কিছু জটিলতার কারণে ব্রিজ সংস্কার ও বাসস্ট্যান্ডটি চালু করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের তরফে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। খানাকুলে ধান্যঘোরী পঞ্চায়েতের বন্দর এলাকা ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। একুশ সালের বন্যায় বন্দর এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই ধাক্কা আজও সামলে ওঠা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ পাত্র বলেন, একুশ সালের বন্যায় বন্দর বাসস্ট্যান্ড ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়। বাসস্ট্যান্ডের ঢোকার মুখে সুঁটি খালের উপর থাকা ব্রিজের পিলার নরবড়ে হয়ে গিয়েছে। তিনবছর হয়ে গেল ব্রিজটির সংস্কার হয়নি। বাসস্ট্যান্ডও চালু করা যায়নি। বন্দর থেকে এক কিমি দূরে কাকনান এলাকার শনিতলার মোড়ে গিয়ে বাসিন্দাদের বাস ধরতে হয়। যে কারণে দিনের পর দিন আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী স্বপন মাঝি বলেন, পাঞ্জাব থেকে আলুবীজ নিয়ে আসা গাড়িগুলি বন্দর বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিমি দূরে দাঁড়ায়। ছোট গাড়ি বা মোটরভ্যানে বীজ বাজারের গোডাউনে আনতে হয়। যার জেরে আমাদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ব্যবসায়ী সমিতির তরফে প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিষয়টি দেখার জন্য বহুবার বলা হয়েছে। কাজ হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক ঘোড়া বলেন, তিনবছর আগেও এই বন্দর এলাকা খানাকুলের অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী খানাকুল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ এই বাজারে কেনাকাটা করতে আসতেন। বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, সুঁটি খালের ব্রিজ সংস্কার ও বন্দর বাসস্ট্যান্ড চালু করার বিষয়ে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)