• করোনাকালে আদ্রা ডিভিশনে বর্ধিত একাধিক ট্রেনের ভাড়া কমেনি আজও
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: কোভিডের পর থেকে এখনও আসানসোল- বোকারো লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। কোভিডের পর একাধিক লোকাল ট্রেনকে স্পেশাল হিসেবে চালানো হচ্ছে। তিনগুণ বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা। শুধু তাই নয়, ভোরের দিকের আদ্রা-আসানসোল স্পেশাল ট্রেনটি আগে বেরো, রামকানালি, মুরাডি, মধুকুণ্ডা স্টেশনে স্টপেজ দিত। বর্তমানে স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বহু মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এনিয়ে রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা সোচ্চার হচ্ছেন। ইতিমধ্যে মহকুমা এলাকার মানুষজনকে নিয়ে আদ্রা ডিভিশনের যাত্রী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সংগঠনের তরফে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনে এলাকার সমস্ত রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের পড়ুয়া সহ বুদ্ধিজীবী মহলের ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যে গণস্বাক্ষর অভিযান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রেল সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ে কোর কমিটির বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিত্য যাত্রীদের দাবি, আদ্রা ডিভিশনের ট্রেন পরিষেবা সবচেয়ে খারাপ। দু’বছরের বেশি সময় ধরে মাঝেমধ্যেই ট্রাফিক ব্লক নেওয়া হচ্ছে। লোকাল ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোভিডের পর থেকে এখনও আসানসোল-বোকারো লোকাল ট্রেন চালু হয়নি। ওই সময় থেকে একাধিক লোকাল ট্রেনকে স্পেশাল হিসেবে চালানো হচ্ছে। ১০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নিত্যযাত্রীরা এনিয়ে সরব। পাশাপাশি অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসকে আদ্রা থেকে চালানো, পুরুলিয়া-বর্ধমান ট্রেন পুরনো সিডিউলে চালানো, আসানসোল থেকে আদ্রাগামী রাত ৮টা ১০ মিনিটের লোকাল ট্রেনের সময় পরিবর্তন করে ৮টা ৪০ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া আদ্রা-কাশীপুর রাজ্য সড়কের জয়চণ্ডীতে এবং রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কের চিনপিনায় উড়ালপুল তৈরির দাবি উঠছে। 


    সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বদেশপ্রিয় মাহাত ও কৌশিক সরকার বলেন, আদ্রা ডিভিশনের রেল পরিষেবা খুবই খারাপ। পুরুলিয়ার মানুষ শান্ত প্রকৃতির। তাই এখানে তেমন প্রতিবাদ হয় না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আদ্রা ডিভিশন যখন খুশি ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। কোভিডের পর এখনও অনেক ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি লোকাল ট্রেনকে এক্সপ্রেসের তকমা দিয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সংগঠনের তরফে ওই বিষয়গুলি নিয়ে আন্দোলন করা হবে।


    বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আদ্রা ডিভিশনের রেল পরিষেবা নিয়ে অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আমি পার্লামেন্টে সোচ্চার হব।


    বিজেপি বিধায়ক নদীয়ার চাঁদ বাউরি বলেন, রেলের বেশ কয়েকটি অসুবিধার বিষয়ে ডিআরএমকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।


    আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়ার পর তা সমাধান করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আর কী কী অভিযোগ রয়েছে তা আমাকে জানালে অবশ্যই উচ্চদপ্তরে বিষয়টি জানাব। আমার তরফে যতটা কাজ করা সম্ভব করছি।
  • Link to this news (বর্তমান)