দৃষ্টিহীন ও মূক বধিরদের র্যাপিড দাবায় পদক জয় নবদ্বীপ ব্লাইন্ড স্কুলের তিন পড়ুয়ার
বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: কারও বাবা জনমজুর, কারও বাবা অন্যের জমিতে চাষবাস করেন। আবার কারও বাবা বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছোট মিষ্টির দোকান চালান। নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের দৃষ্টিহীন তিন পড়ুয়া পদক জয় করল। শনিবার কলকাতায় আন্তর্জাতিক দাবা দিবসে সারা বাংলা দৃষ্টিহীন এবং মূক-বধিরদের র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সঞ্জু বিশ্বাস অনূর্ধ্ব-১১ বিভাগে প্রথম হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৩ বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে অষ্টম শ্রেণির সজল অধিকারী, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হিরণ বিশ্বাস তৃতীয় হয়েছে।
কলকাতা জেলা দাবা অ্যাসোসিয়েশন এবং নদীয়া জেলা দাবা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শনিবার কলকাতা সেন্টার অব ক্রিয়েটিভিটিতে সারা বাংলা দৃষ্টিহীন এবং মূক বধির দাবাড়ুদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতায় ১৪জন আন্তর্জাতিক র্যাঙ্ক করা দাবাড়ু সহ বিভিন্ন বয়সি ৬৬জন দৃষ্টিহীন অংশ নেন। নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের আট বালক ও দুই বালিকা অংশ নিয়েছিল। ভীমপুর থানার মহাখোলায় বাড়ি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সঞ্জু বিশ্বাসের। সে বলে, জন্ম থেকেই চোখের সমস্যা। খুবই ক্ষীণদৃষ্টি। আগে খেলাধুলায় পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু দাবায় এই প্রথম পুরস্কার পেলাম। নদীয়া জেলা দাবা সংস্থার সম্পাদক তুষার চট্টোপাধ্যায় বলেন, সকলে মিলে বাংলার দাবাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। নবদ্বীপ এপিসি ব্লাইন্ড স্কুলের হস্টেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুরেন্দ্রকুমার চক্রবর্তী বলেন, দাবায় ওদের সাফল্যে আমরা সবাই খুশি। রবিবার ওদের জন্যেই স্পেশাল খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এর আগে এখানে অল বেঙ্গল চেস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৬টি রাজ্যকে নিয়ে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন কোচিংয়ের অভাবে আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারছিলাম না। ধারাবাহিকভাবে স্কুলে যাতে দাবার ক্যাম্প করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা করেছি। এই খেলার মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মানসিক বিকাশ ঘটবে।