পিতৃহীন কন্যার বিয়েতে প্রীতিভোজের দায়িত্ব নিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মেয়েটির বয়স তখন মাত্র সাড়ে তিন বছর। ওই সময় এক দুর্ঘটনায় মেয়েটির বাবা উজ্জ্বল হালদার মারা যান। তারপর মা টুম্পা হালদার সংসার টানতে অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। কাজ করে মেয়েকে মানুষ করেন টুম্পা।
জুলাই মাসে পুরাতন মালদহের ওই পরিচারিকার মেয়ে রুম্পা হালদারের সঙ্গে গাজোলের ময়নার এক ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু কীভাবে বিবাহ সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে পরিচারিকা টুম্পা চিন্তায় পড়ে যান।
বিষয়টি পরিচারিকার কাছ থেকে গৃহকর্ত্রী তথা স্কুল শিক্ষিকা দীপা ঘোষ জানতে পারেন। ওই শিক্ষিকার অনুরোধে দুঃস্থ পরিবারটির পাশে এসে দাঁড়ায় শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুসকিল আসান হয় পরিচারিকা টুম্পার। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির উদ্যোগেই রবিবার মেয়েটির বিয়ে সুসম্পন্ন হয়। বিয়ের ভোজেরও দায়িত্ব নেন সংস্থাটির সদস্যরা।
রবিবার রাতে ভোজের আয়োজনে থাকে মাছের কালিয়া, ভাত, ডাল, পনিরের সব্জি, বেগুনি, দই , মিষ্টি সহ বিভিন্ন পদ।
সংস্থাটি মেয়ের বিয়েতে এগিয়ে আসায় খুশি মা টুম্পা। বলেছেন, সব মায়ের স্বপ্ন থাকে মেয়ের বিয়ের আয়োজনে যেন কোনও খামতি না থাকে। দ্রব্যমূল্যের বাজারে সংসার কষ্ট করে চালিয়েছি। যেভাবে একাধিক যুবক এবং সবাই পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।
এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছোটাছুটি করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির সদস্যরা। তাঁদের একজন হারাধন সাহা বলেন, মেয়েটির বাবা নেই। মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এগিয়ে এসেছি। খুব অল্প সময় পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যেই ২০০ জনের খাবার ব্যবস্থা করেছি। সংস্থাটি এর আগেও অসহায় মানুষের একাধিক বিয়ের জোগাড় করেছিল। তাঁদের সহায়তায় খুশি এলাকাবাসীও।