• রাজ্যের চারটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন ১২০০ পড়ুয়া
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সংরক্ষণ ইস্যুতে অশান্ত বাংলাদেশ। সেই বিক্ষোভের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। আটকে পড়েছিলেন নেপাল, ভুটানেরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। অবশেষে বিএসএফের সৌজন্যে রাজ্যের ৪ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন ১২০০ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে রয়েছেন এক হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া। দেড়শো জন নেপালের এবং জনা চারেক ভুটানের ছাত্রছাত্রী। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। পড়ুয়াদের সবরকম সাহায্য করতে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা, নদীয়ার গেদে এবং মালদার মহদিপুর সীমান্তে বিশেষ হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। সেখানে দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের আধিকারিক ও জওয়ানরা উপস্থিত রয়েছেন। নজর রাখা হচ্ছে, যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়।


    বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভে হিংসা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা বাড়ছে। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়, নেপালি ও ভুটানি ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের দেশে ফিরতে চাইছেন। তাই এই সঙ্কটকালে পাশে দাঁড়িয়েছে বিএসএফ। দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী যাতে নিরাপদে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছয়, তা মনিটরিং করছে বিএসএফ। ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে নেপালি এবং ভুটানি শিক্ষার্থীদের একই ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। 


    বিএসএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৮, ১৯, ২০ এবং ২১ জুলাই (সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল, ঘোজাডাঙা, নদীয়া জেলার গেদে এবং মালদহের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে মোট ১২০৮ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে ঢুকেছেন। এর মধ্যে ১০৪৫ জন ভারতীয় পড়ুয়া, ১৫২ জন নেপালি পড়ুয়া, ৪ জন ভুটানের পড়ুয়া এবং ৭ জন বাংলাদেশি পড়ুয়াও রয়েছেন।


    বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মুখপাত্র তথা ডিআইজি এ কে আর্য জানিয়েছেন, বিজিবির সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাত্রিকালীন অভিযানের সময়ও শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে স্থানান্তর হতে পারেন, তার জন্য সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে। তার জন্য আইসিপি পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন ডেস্ক এখন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)