• একুশের ডায়েরি
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • শপিং মলে খোয়া গেল মানিব্যাগ


    প্যাচ প্যাচে গরমের হাত থেকে বাঁচতে ধর্মতলা চত্বরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং মলগুলিতে ভিড় জমিয়েছিলেন জনসভায় আসা মানুষ। ধর্মতলা মোড়ের একটি শপিং মলের ভিতর সিঁড়িতে বসেও পড়লেন সভায় আসা মানুষজন। ভিড়ের মধ্যে শপিং মল থেকে তিনটি মানিব্যাগ চুরির ঘটনাও ঘটেছে। মল কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে সতর্ক করেছে ক্রেতাদের। তাদের বার্তা— ‘মোবাইল, মানি ব্যাগ সামলে রাখুন। মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়েছে।’হোটেলগুলিতে শুধুই ডিম-ভাত


    রবিবার ধর্মতলা চত্বরের সব অফিস ছুটি। কিন্তু, একুশে জুলাই উপলক্ষ্যে ফুটপাতের উপর সমস্ত ভাতের হোটেল খোলা ছিল। জেলা থেকে তৃণমূলের কর্মী, সদস্যরা আসবেন। সে কথা মাথায় রেখেই খোলা রাখা হয় দোকানগুলি। তবে অন্যদিনের মতো খাবারের মেনু অমিল। মাছ, মাংস কিছুই পাওয়া গেল না। শুধু মাত্র ডিম-ভাত। তারস্বরে তাঁরা চিৎকার করলেন— সব্জি ভাত, ডিম ভাত।রিকশ চালিয়ে সভায় দিদি-ভাই


    পায়ে হাঁটা মিছিলে এগচ্ছে রিকশ। সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগানো। চক্রবেড়িয়া রোডের হকার জয়প্রকাশ সাউ চালাচ্ছেন রিকশ। সিটে বসে রয়েছেন তাঁর দিদি মীরা সাউ। দু’জনেই বলছিলেন, আমরা তো দিদিকেই ভালোবাসি। এই পা নিয়ে ভোট দিতে যাই। কিন্তু দিদির উপর ভরসা রয়েছে 


    সবসময়। তাই তো মিছিলে যাচ্ছি। -নিজস্ব চিত্রউত্তরবঙ্গ থেকে মিছিলে তামাংরা


    মিছিলের পথে আচমকা নেপালি স্লোগান। স্থানীয় পোশাকে সজ্জিত হয়ে কয়েকজন সেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওঁরা দার্জিলিং-কালিম্পিঙ থেকে থেকে আসা তামাং যুব অ্যাসোসিয়েশনের ওই সংগঠনের গৌতম তামাং বলছিলেন, দিদি আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আলাদা বোর্ড তৈরি করে দিয়েছেন। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই আমরা এখানে এসেছি। -নিজস্ব চিত্রকম্পিউটার শিক্ষকরা সভায়


    একটা সময় বেসরকারি সংস্থার আওতায় স্কুলে কম্পিউটার শেখাতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ওঁরা সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মী হয়েছেন। সে কথা ভলেননি তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ আইটি পার্সোন্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোয়িশনের প্রায় সাড়ে তিন হাজার সদস্য ধর্মতলার সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সংস্থার রাজ্য সভাপতি মোসাব্বর গাজি বলছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)