• সাইকেল চেপে মশা সেজে মেদিনীপুর থেকে ধর্মতলা
    বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থেকে রওনা দিয়েছিল একটি মশা। পথে সাইকেল থামিয়ে ডেঙ্গু নিয়ে দু-চার কথা শুনিয়ে ফের এগিয়ে গিয়েছিল। তাকে রবিবার দেখা গেল ধর্মতলায়। আর দেখা মিলল লক্ষ্মী ঠাকুরেরও। ঘাটালের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত কর্মকার। তিনি শাড়ি-গয়না পরে লক্ষ্মী ঠাকুর সেজে একুশের সভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অসামান্যতা নিয়ে অনর্গল প্রচার করে গেলেন। তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন অনুষ্ঠানে ধর্মতলায় সবার নজর এই বহুরূপীদের দিকে।


    দুপুরের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলের অদূরে দাঁড়িয়ে মশাটি ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছিল। সভা শেষে মুখোশ খোলার পর দেখা গেল, মশা নয়, সুঠাম চেহারার এক ব্যক্তি। একুশের সভায় এসেছিলেন মানব কল্যাণের বার্তা দিতে। তাঁর নাম তৃণাঙ্কুর পাল। পেশায় কৃষক। দিন আনেন দিন খান। আর কাজের ফাঁকে মানুষকে সচেতন করার কাজ করেন। চন্দ্রকোণা থানার যাদবপুর গ্রামের তৃণাঙ্কুর জানান, শুরু করেছিলেন বাল্যবিবাহ রুখতে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা অভিযান চালিয়ে। করোনার সময় করোনা সেজেও ঘুরেছেন। তাঁর সাইকেলে ডেঙ্গু বিরোধী বার্তা লেখা প্ল্যাকার্ড। তৃণাঙ্কুরের সঙ্গে ছবি তোলার ভিড় জমজমাট।


    আর ঘাটালের লক্ষ্মী কর্মকারও নজর কাড়লেন। লক্ষ্মী ঠাকুর সেজে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচার চালালেন মমতার অন্ধভক্ত মানুষটি। তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনেও এমনভাবে সেজে গ্রামে গ্রামে এই যুগান্তকারী প্রকল্পের প্রচার চালিয়েছিলেন। 


    বহুরূপীরা শুধু নন এদিন ধর্মতলায় নানা রঙের নানা ছবির দেখা মিলল। ভ্যান-রিকশতে তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যাবলো নিয়ে ধর্মতলায় হাজির অর্জুন সর্দার। অ্যাম্বুলেন্স চালক অর্জুনের ভ্যানের উপরাংশ পতাকায় সেজে। নীচে পরিবেশ বাঁচানোর ডাক দিয়ে গাছের চারা সাজানো। এছাড়া রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের বার্তা। এবং কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদও রয়েছে অর্জুনের ট্যাবলোতে। এদিনের সভাস্থলে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা ফোমের টুপিও নজর কেড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামের বাসিন্দা শিল্পী রাখাল দাস। রঙিন ফোমের ফ্রেম দিয়ে বাঁধিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেগুলি বিক্রি করছেন। সঙ্গে বেচছেন ফোমের টুপি। টুপিতে তৃণমূলের প্রতীক। দেদার বিক্রি হল সে টুপি। সবমিলিয়ে নানা রঙে রঙিন ধর্মতলায় গোটা রাজ্যের ছবি টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে রইল সকাল থেকে বিকেল। যার যেমন পছন্দ, সে ছবি তুলে রাখল হয় ক্যামেরায় নয় স্মৃতিতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)