সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলতলি কাণ্ডে ধৃত সাদ্দাম সর্দারের সুড়ঙ্গ নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই সুড়ঙ্গে আদৌ কী হত, তা নিয়ে ধোঁয়াশার অন্ত নেই। এই ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের তরফে এই ঘটনা সম্পর্কে একাধিক বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
কুলতলির জালাবেরিয়া-২ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সাদ্দামের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সাদ্দামের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সাদ্দামকে ধরে ফেলে তারা। এর পরেই বাড়ি এবং আশেপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম এবং সাইরুল। অভিযুক্তের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়ে যায়।
পুলিশি জেরায় সাদ্দামের দাবি, মাগুর মাছ চাষ করার ভাবনাচিন্তা ছিল তাঁর। সে কারণে খাটের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন। সাদ্দামের বাড়ির পাশেই রয়েছে খাল। খালের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ মিশেছে সুন্দরবনের মাতলা নদীতে। তা ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী। সেই খালের জলের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে ওই সুড়ঙ্গের মুখে জাল আটকে মাগুর মাছ চাষের ভাবনাচিন্তা ছিল সাদ্দামের।
রাজভবনের অফিসিয়াল X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা বিবৃতিতে গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সন্দেশখালি, ভূপতিনগর এবং বনগাঁয় তদন্তকারীরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার নিরিখে একই সারিতে এই ঘটনাটিকে উল্লেখ করা হয়েছে। মাতলা নদীতে ওই সুড়ঙ্গ মেশার কথা উল্লেখ করে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এমনই একাধিক প্রশ্ন বিবৃতিতে উল্লেখ করে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল বোস।