• ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন, বেচতেন দুধ! কোন ম্যাজিকে তিনিই হয়ে গেলেন আইপিএস অফিসার?
    ২৪ ঘন্টা | ২২ জুলাই ২০২৪
  • প্রদ্যুত দাস: উঠে আসার গল্প, সংগ্রামের গল্প সব সময়েই প্রেরণা দেয় অন্য মানুষকে। মানুষ অবশ্য সাফল্যের আলো নিয়েই বেশি প্রাণিত থাকেন। আলোর পিছনের অন্ধকার নিয়ে তেমন খোঁজ রাখে না কেউ। একজন দুধবিক্রেতা থেকে আইপিএস অফিসার হয়ে ওঠার পথে এরকম অনেক অন্ধকারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছে উমেশ খান্ডবাহালে'কে।

    মহারাষ্ট্রের সাধারণ এক কৃষক পরিবারের ছেলে উমেশ। ছোটবেলায় নাসিকের বাজারে এসে দুধ বিক্রি করতেন তিনি। ২০০৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে ২১ পেয়ে ফেল করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক ফেল করা সেই ছাত্র দুধ বিক্রি করতেন। তখন থেকেই তাঁর জীবন কঠোর পরিশ্রমের। তবে অধ্যবসায়ও ছাড়েননি। অধ্যবসায় দিয়েই নিজের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। ক্রমে হয়ে ওঠেন একজন আইপিএস‌ অফিসার।

     

    কী ভাবে সম্ভব হয়েছে এই অসাধ্যসাধন? একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দুধবিক্রেতা থেকে আইপিএস‌ অফিসার হ‌ওয়ার‌ এই গল্প‌ শোনালেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার উমেশ খান্ডবাহালে।

    কেমন সে গল্প? 

    উমেশ খান্ডবাহালের জীবনের এই গল্প‌ যেন অনেকটা 'টুয়েলভ ফেল' সিনেমার মতো। জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নিজের জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন উমেশ।

    জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী শিক্ষক-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে। তাঁদের সকলের সামনে নিজের জীবনের গল্প শোনাতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস সুপার বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবন‌ই সংঘর্ষপূর্ণ, সংকটপূর্ণ, লড়াইপূর্ণ। জীবনের বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা আসবেই। তা‌ সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেই আমাদের ক্রমশ এগিয়ে যেতে হয়, ক্রমশ এগিয়ে চলতে হবে।

    মূলত আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জীবনসংগ্রামের প্রেরণা জোগাতেই‌, তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পুলিস সুপারের জীবন সংগ্রামের গল্প শোনার জন্য কানায় কানায় পূর্ণ ছিল জলপাইগুড়ি পুরসভার 'প্রয়াস ভবন'। এ ধরনের আলোচনায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক-সহ সাধারণমানুষ। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)