চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস গতবারের থেকে বেশি আসন পেলেও মালদা জেলার একটি কেন্দ্রেও জয়ী হতে পারেনি। মালদা উত্তর আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং দক্ষিণ আসনটি কংগ্রেস ধরে রেখেছে। এবার সেখানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। মালদা থেকে একটি আসন না পাওয়া নিয়ে রবিবার একুশে জুলাইয়ের ধর্মতলার মঞ্চ থেকে আফসোসের সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের কন্ঠে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশাবাদী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় ভালো করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমারা মালদার আম ও আমসত্ত্ব দুই পাবো।’ এই নিয়ে এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করতে মাঠে নামল বিজেপি এবং কংগ্রেস।
কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী মালদায় তৃণমূল কেন হেরেছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। গরিব মানুষকে কোনও সুবিধা তো দেয়ইনি, উল্টে তাদের আরও গরিব করে দিয়েছে। অথচ দুর্নীতি করে প্রচুর অর্থ করে ফেলেছেন তৃণমূল নেতারা। আর সেই কারণে মালদার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হতে পারেনি।
একুশে জুলাইয়ের ধর্মতলার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আফসোস করে বলেছিলেন, ’আশা করি উত্তরবঙ্গের মানুষ আগামী দিনে আমাদেরকে আরও সমর্থন দেবেন। আমি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, মালদার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। যদিও মালদায় লোকসভা নির্বাচনে আমরা জিততে পারেনি। আমি জানিনা কেন! হয়তো আমাদের দুর্ভাগ্য। একটা সিট কংগ্রেস জিতেছে, একটা বিজেপি। কিন্তু, ওরা কোনওদিন মানুষের জন্য কিছু করেনি। করবেও না। এটা মনে রাখুন। কিন্তু তাও আমি ভুল বুঝিনি। আমি মনে করি মালদার আম এবং আমসত্ত্ব ২০২৬ সালে আমরা পাব।’
এ প্রসঙ্গে খগেন মুর্মু মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, মালদার মানুষ শাসক দলকে আম বা আমসত্ত্ব কিছুই দেবে না। এখানে সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাদের ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। নদী ভাঙন এখানে একটি বড় সমস্যা। বহু মানুষ এরজন্য ঘরছাড়া জমি হারা হয়েছেন। কিন্তু, রাজ্য সরকার তাদের বাঁচানোর জন্য কিছুই করেনি। কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চায় না রাজ্য। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বলুন না কেন মালদার আম বা আমসত্ত্ব কিছুই পাবেন না।