• বিধানসভায় সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক, 'প্রথম দিন'-এর অভিজ্ঞতা কেমন? জানালেন মধুপর্ণা
    এই সময় | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • বয়স মাত্র ২৫। মায়ের হাত ধরে বিধানসভার অলিন্দে ঢুকলেন রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। বাগদা কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যদিও, বিধায়ক হিসেবে তিনি এখনও শপথগ্রহণ করেননি। মঙ্গলবার শপথগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। তবে, বিধায়সভায় প্রথমদিন কেমন গেল? নার্ভাস ছিলেন কি তিনি? জানালেন মধুপর্ণা নিজেই।সোমবার সকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মা মমতাবালা ঠাকুরকে হাত ধরেই বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। মা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। বলা যেতে পারে, বনগাঁয় বিজেপির বিরুদ্ধে মতুয়া সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াইয়ের অন্যতম সৈনিক মমতা বালা। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক নাম। যিনি, প্রথমবার জিতেই তৃণমূলের সর্ব বৃহৎ সমাবেশ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

    প্রথমদিন কেমন লাগল বিধানসভায়? মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমদিন একটু নার্ভাসনেস তো ছিলই। তবে বিধানসভায় সবাই আমাকে নিজের ছোট বোনের মতো দেখছে। আশা করি, এই নার্ভাসনেসটা বেশিদিন থাকবে না।’

    বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীর থেকেও লড়াইটা আসলে ছিল তাঁর দাদা এবং বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। লড়াইটা সহজ ছিল না। উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। উপহারস্বরূপ, রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের পাশাপশি তাঁকেও লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমবার এতগুলো লোকের সামনে বক্তৃতা দিয়েছি, একটু ভয় ছিল। একটু নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, সবাই জানে। তবে, আগামীতে এটা আর হবে না। অভিজ্ঞতা যখন হয়ে যাবে, তখন বক্তৃতা দিতে অভ্যাস হয়ে যাবে।’

    তবে, নির্বাচনের শুরু থেকেই মায়ের দেখানো পথেই হেঁটেছেন কন্যা। ভরসা, আত্মবিশ্বাস সবটুকুই মেয়ের জন্য উজাড় করে দিয়েছিলেন মমতা বালা। তাঁকে দেখেই রাজনীতির ময়দানে এগোচ্ছেন তৃণমূলের নির্বাচিত বিধায়ক। আগামী দিনে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে নিজের এলাকার মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত হতে হবে তাঁকে। আগামী দিনেও মা সেই শক্তি জুগিয়ে যাবেন বলে জানালেন মধুপর্ণা।
  • Link to this news (এই সময়)