কচু দেখলেই গলা চুলকায়? জানেন রাজ্যের এই জেলায় কচুবাটা উৎসব হয়? ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ ...
আজকাল | ২৩ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পথের ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠে। তাও হেলাফেলার জিনিস নয় কচু। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর 'টেনিদা' সিরিজের একটি গল্পে 'কচুবনেশ্বর দেবী'র উল্লেখ করেছিলেন। গল্পে জাগ্রত এই দেবীর ভোগে থাকত শুধুই কচুর তৈরি নানারকম তরকারি। কিন্তু বাস্তবে শুধু কচু নিয়েই হয় একটি উৎসব। বর্ধমানের নীলপুরে হওয়া এই উৎসব এলাকায় এবং আশপাশে 'কচুবাটা উৎসব'। প্রতি বছর গুরু পূর্ণিমার পরের দিন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেখানে যোগ দেন কয়েক হাজার লোক।
উৎসব কেন্দ্র করে নীলপুর ও অন্য কিছু অঞ্চলে চলে অরন্ধন পর্ব। রান্নাবান্নার পাট থাকে না অনেক বাড়িতেই। শ্রীগুরু আশ্রমে তিনদিনের এই উৎসবে ভিড় করেন মূলত পূর্ববঙ্গ থেকে আসা লোকজন। কারণ, কচুর স্বাদের সঙ্গে তাঁরা একটু বেশি পরিচিত বলেই উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। পরিব্রাজক দূর্গাপ্রসন্ন'র এই আশ্রমে তিনদিন ধরে উৎসব এবং ভোজের আয়োজন করা হলেও মূল ভিড়টা হয় গুরু পূর্ণিমার পরের দিন। এদিন গোটা রাজ্য থেকে জোগাড় করে নিয়ে আসা হয় সেরা সেরা মানকচু। তার বাকল ছাড়িয়ে মেসিনে পেশাই করা হয়। এরপর সর্ষে বাটা, নুন, লেবু, লঙ্কা আর নারকেল মিশিয়ে তৈরি হয় এই বাটা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাদের নাকি কোনও ভাগ হয় না। যারা একবার খান, তাঁরা নাকি পরেরবার আবার স্বাদ নিতে ছুটে যান। বাটার আবার মাহাত্ম্যও আছে। শোনা যায়,এই কচুবাটা খেলে নাকি গায়ের ব্যাথা মরে যায়। তাই ওষুধ মনে করেও অনেকে এই ভাত ও কচুবাটা খান। আশ্রমের ভক্ত পলাশ দাশ বলেন, এই জায়গাটা এখন একটা মিলন ক্ষেত্র। কচুবাটা খেতে মানুষের ঢল নামে।