মিল্টন সেন,হুগলি: হিমঘর খোলা থাকলেও বন্ধ রাখা হয়েছে আলু বেরনোর কাজ। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জেরে বাজারে আলুর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অথচ খোলা রাখা হয়েছে সিঙ্গুরের আলুর আড়ত।
বেশকিছু আলু, যেগুলো বাইরের রাজ্যে বিক্রি হয়, কিন্তু সেই আলুর এরাজ্যে বাজার নেই। সেই কারণে ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে। হিমঘরের ভাড়া বেড়ে যাওয়া নিয়ে এর আগে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী কথা বলতে চাওয়ায় সেই ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সর্বত্র কর্মবিরতি চললেও, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বাড়ির অদূরেই রতনপুর আলুর আড়তে কর্মবিরতির কোনও প্রভাব নেই। সিঙ্গুর রতনপুর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক প্রহ্লাদ মন্ডল জানিয়েছেন, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি যে ইস্যুতে কর্মবিরতি ডেকেছে তিনি সমর্থন করেন। তবুও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাজার খোলা রাখা হয়েছে। অন্যথায় বাজারে আলুর দাম আগুন হয়ে যাবে। সরকারের উচিত অবিলম্বে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করা এবং যে ট্রাকগুলি আটকে আছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। হাসনাবাদ থেকে আলু কিনতে আসা এক পাইকারি ক্রেতা মনসুর আলী সরদার জানিয়েছেন, তিনি আলু কিনতে এসেছিলেন, বাজার ঘুরে দেখেছেন। আলু পেলেও পরিমাণ খুবই কম। এই ভাবে চললে বাজারে যোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। ফলে দাম বেড়ে যাবে। এদিন খোলা বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩২-৩৩ টাকা। আর চন্দ্রমুখি আলু ছিল ৩৮-৪০ টাকা কিলো। ছবি পার্থ রাহা।