আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুকুমার রায়ের হযবরল'র বেড়ালটা বলেছিল 'গরম লাগে তো তিব্বত গেলেই পার।' মালদায় একটি আইসক্রিম কারখানার এক কর্মী 'গরম' লাগছে বলে সোজা ঢুকে পড়লেন কারখানার ডিপ ফ্রিজ-এর ভেতর। বাইরে থেকে অটোলক হয়ে যাওয়ার জন্য দরজা আর খুলতে পারেননি। সকাল বেলায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। উলঙ্গ অবস্থায় তিনি ডিপ ফ্রিজে মুখ গুঁজে পড়েছিলেন। মৃত মৃণালকান্তি বসু (৪২) উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁর বাসিন্দা। মালদা থানার বাচামারি মোড়ের কাছে ওই কারখানায় গাড়ি চালকের কাজ করতেন। সোমবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
কারখানার মালিক জয়ন্ত পাল চৌধুরী জানান, 'ওই ব্যক্তি আমার কারখানার গাড়ি চালক ছিলেন। রাতে কারখানাতেই থাকতেন। সকালে গোডাউনের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে প্রথমে পাওয়া যায়নি। এরপর ডিপ ফ্রিজের ভেতর তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তিনি প্রতিদিন মদ্যপান করতেন। মনে হচ্ছে ঠান্ডা বাতাসের জন্যই তিনি ভেতরে ঢুকেছিলেন। এরপর দরজা বাইরে থেকে অটোলক হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বেরতে পারেননি। সম্ভবত দম বন্ধ হয়ে মারা যান।' জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও মৃণালকান্তি কারখানায় ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।সকালে দরজা না খোলায় ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া না পাওয়ায় ভেতরে ঢুকে তাঁকে এই অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে এই প্রশ্নও উঠেছে, উলঙ্গ অবস্থায় তিনি ডিপ ফ্রিজে কেন ঢুকেছিলেন? তদন্তে পুলিশ।