জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা পৌরসভার অন্তর্গত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি মোড়ের কাছে একটি আইসক্রিমের গোডাউন রয়েছে এবং সেই গোডাউনের গাড়ির চালক দক্ষিণবঙ্গের বনগাঁর ব্যক্তি মৃণাল কান্তি বসু (৪২)। রাতে গোডাউনেই থাকতেন মৃণাল বাবু। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও গোডাউনের দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। কিন্তু সকাল হয়ে গেলেও ওই গাড়ির চালক দরজা না খোলায় সকলের সন্দেহ হয়। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
এমনকী গোডাউনের ম্যানেজার পেছনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই চালককে খোঁজা খুঁজি করে পায়নি। অবশেষে গোডাউনের সব ফ্রিজার খুলে দেখতে গিয়ে আঁতকে গোডাউন ম্যানেজার। দেখা যায় একটি বড় ডিপ ফ্রিজারে ওই গাড়ি চালকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে উলঙ্গ অবস্থায়। খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে প্রচুর স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায় এবং ছুটে আসে মালদা থানার পুলিস। পুলিস এসে ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তবে উলঙ্গ অবস্থায় ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে এবং রহস্যর দানা বেঁধেছে। কেনই বা উলঙ্গ অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। যদিও ওই গোডাউনের মালিক জয়ন্ত পাল চৌধুরী বলেন, এই ব্যক্তি আমার আইসক্রিমের গাড়ি চালাত এবং রাত্রে এখানেই থাকতো। তবে আজকে সকালে গোডাউনের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় এবং দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে আইসক্রিমের ডিপ ফ্রিজে তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, মনে হচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাস পাওয়ার জন্যই ওই ফ্রিজে ঢুকেছিল। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তি প্রতিনিয়ত মদ্যপান করতেন বলেও জানা গিয়েছে। সম্ভবত ফ্রিজের ভিতরে থাকাকালীন বাইরে থেকে ডিপ ফ্রিজের ঢাকনা অটো লক হয়ে যাওয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে একই কথা জানায় সংশ্লিষ্ট গোডাউনের ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষও।
তিনি জানান, সকালে এসে দেখি গোডাউনের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে অনেক ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। অবশেষে পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ডিপ ফ্রিজ থেকে তাকে উদ্ধার করি। তবে মৃত ব্যক্তি উলঙ্গ অবস্থায় কেন ছিল? এমনই প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি নেশার কারণে এই ঘটনা না অন্য কোনও কারণ রয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিস।