আজ শ্রাবণের প্রথম সোমবার। আর রবিবার থেকেই জল্পেশ মন্দিরে শুরু হয়েছে শ্রাবণী উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও জল্পেশে শিবের জন্মমাস উপলক্ষে শ্রাবণে শুরু হল এই উৎসব। এদিন ভুটান, নেপাল, উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন বাবার মাথায় জল ঢালতে। এক মাস জুড়ে চলে এই উৎসব এবং শ্রাবণী মেলা। এবারেও চলবে।
এই মেলা ঘিরে প্রচুর দোকানপাট বসে এখানে। শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে এবার নিরাপত্তার উপর খুবই জোর দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিসের কর্মীরা ছাড়া থাকবেন সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। সাদা পোশাকের পুলিসও থাকছে এই মেলায়। প্রতিটি গেটেই লাগানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর ও সিসিটিভি ক্যামেরা। করোনার ঠিক পরের কয়েক বছর ভক্তেরা জল্পেশ মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি। এবার তাঁরা সেটা পারবেন। যদিও কিছু সরকারি নিয়মকানুন থাকছেই। মূল গেটে লাগানো হয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেন্সর মেশিন। এই গেট দিয়ে ৫০ জন করে পুণ্যার্থীরা ভিতরের প্রবেশ করতে পারবেন। স্বয়ংক্রিয় মেশিন দ্বারাই গেটটি বন্ধ হয়ে যাবে। পুণ্যার্থীরা যাতে ভালো করে জল ঢালতে পারে এবং ভিড় এড়ানো যায় তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানান মন্দির কমিটির সম্পাদক। সেই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকেও থাকবে তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ারের দল।
মন্দিরে জল ঢালতে আসা পুণ্যার্থীদের একজন বলেন, এবারে জল ঢালতে পুণ্যার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। সকলেই খুব সুন্দর ভাবে বাবার মাথায় জল ঢালতে পারছেন। তাঁরা খুশি এত বছর পরে সরাসরি বাবার মাথায় জল ঢালতে পারছেন বলে।
পুলিসসূত্রে খবর, জল্পেশ মন্দির-লাগোয়া পুকুর চত্বরে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। সঙ্গে রয়েছে মহিলা ও পুরুষ পুলিস। কেউ যাতে নদীতে বা পুকুরে ডুবে না যান, থাকছে তার প্রতিরোধের বা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও। যাতে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সকলেই তার প্রতি সতর্ক নজর রেখেছেন তাঁরা।