দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রেমিকা ও তার বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এলাকারই তিন যুবকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়ারসিং এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য। দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখনও ফেরার আরও এক যুবক। ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই দুই স্কুলপড়ুয়া কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও অষ্টম ও দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী তালদি বাজার থেকে টিউশনি পড়ে বাড়ি ফিরছিল। তখনই তিন যুবক তাদের পিছু ধাওয়া করে। তাদের মধ্যে একজন দশম শ্রেণির পড়ুয়ার প্রেমিক। ফাঁকা রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ দুই কিশোরী ও তিন যুবক কথাবার্তা বলে। অভিযোগ, এর পর রাস্তার পাশে একটি ছোট্ট ঘরে যায় পাঁচজন। ওই ঘরেই দুই কিশোরীকে তিন যুবক গণধর্ষণ করে বলেই অভিযোগ।
বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে গোটা ঘটনাটি জানায় দুই স্কুলছাত্রী। ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দুই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাঠায়। দুই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা হল বাকিবুল্লা মোল্লা ও লব মাইতি। বাকিবুল্লা ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়ারসিং এলাকার বাসিন্দা। লব মাইতির বাড়ি বাসন্তীর সোনাখালি। আরেক যুবক পলাতক। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানা পুলিশ। ইতিমধ্যেই পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বাকিবুল্লা মোল্লা জেরায় স্বীকার করেছে এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। বেশ কিছুদিন আগে পরিচয় হয় তার। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। প্রেমিকার সঙ্গে রবিবার দেখা করার কথা ছিল তার। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় দুই বন্ধুও তার সঙ্গে ছিল। তবে কী কারণে স্কুলছাত্রীদের এমন ঘৃণ্য কাজ করল তিনজন, তা এখনও ধৃতদের কেউই স্বীকার করেনি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নির্যাতিতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কিনারা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।