• শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ শুনলেন না সুনীল বনসল, কার্যকর্তারা পড়লেন প্রশ্নের মুখে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ জুলাই ২০২৪
  • লক্ষ্যমাত্রা বিরাট থাকলেও এক ডজন আসনেই আটকে গিয়েছে গেরুয়া রথ। বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে এটাই বিজেপির ফলাফল। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি বিজেপি নেতারা। এই আবহে কদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। তিনি একটি বৈঠক করেন। ভরাডুবি নিয়ে পর্যালোচনার সময় কেউ কেউ সাংগঠনিক ত্রুটি থেকে শুরু করে টাকাপয়সা নয়ছয়ের অভিযোগ তোলেন। বিজেপি সূত্রে খবর, এই সব অভিযোগ শুনে বনসল পাল্টা প্রশ্ন করেন ওইসব কার্যকর্তাদের। আপনারা কেন চুপ করেছিলেন?‌ এই প্রশ্ন তোলেন। কেন সাংগঠনিক ত্রুটি শুধরে নেননি?‌ কিন্তু প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিযোগ শুনতেই চাননি সুনীল বনসল।

    বিজেপির সল্টলেকের রাজ্য দফতরে দুই পর্বে বৈঠক হয়। প্রথম পর্বে লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে পর্যালোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে আগামী দিনে রাজ্যে কোন কোন কর্মসূচি নেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিজেপি সূত্রে খবর, সুনীল বনসল ছাড়াও ওই বৈঠকে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে ও সহ–পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখানেই নানা অভিযোগ উঠে আসে। সরাসরি নাম না করলেও বেশিরভাগের অভিযোগের তির ছিল শুভেন্দুর দিকে।

    প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচারের রণকৌশল সবই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেই হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তাই সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে জগন্নাথ সরকার ঠারেঠোরে ইঙ্গিত করেন বিরোধী দলনেতার দিকেই। যদিও তাঁরা কেউ নাম নেননি। বরং শুভেন্দুর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে অর্জুন সিংকে কড়া কথা শুনতে হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে। সুতরাং এখন দলের অন্দরে কোণঠাসা নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে অনেকেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। টাকা নয়ছয় থেকে সংগঠন দুর্বল সেই কথা তুলে ধরা হয়। শুভেন্দুর পরামর্শে ভুল প্রার্থী বাছাই হয় বলেও অভিযোগ ছিল। কিন্তু সে সব নিয়ে আলোচনার সুযোগই দেননি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    এই সুযোগ না পেয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, গোটা অগস্ট মাস জুড়ে বিজেপির নেতা–কর্মীদের নিজের মায়ের নামে একটি করে গাছ লাগানোর কথা বলা হবে। আবার রাজ্যের প্রত্যেকটি লোকসভা আসনে একটি করে ‘ভোটার ধন্যবাদ সমাবেশ’ করা হবে। এটা একটা জনসংযোগ করার কৌশল। যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজ্য বিজেপির নেতা বলেন, ‘‌এই বৈঠকে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কেন ফল খারাপ হল সেটা নিয়ে দোষারোপ না করে ত্রুটি সংশোধন করতে হবে। পিছনে না তাকিয়ে আগামী নির্বাচনগুলিতে ভাল ফলের লক্ষ্যে সামনের দিকে তাকাতে হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)